“ভালোবাসতাম, এখনও ভালোবাসি!” “ভবিষ্যতে কী হবে জানি না, তবে জানাজানি হবেই!”— বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেও সব্যসাচীর জন্য মন খোলা সুস্মিতার! পুরোনো সম্পর্কে ফেরা নিয়ে স্পষ্ট না হলেও দরজা পুরোপুরি বন্ধ নয়, বললেন সুস্মিতা! তবে কী ফের মিলনের ইঙ্গিত?

একটা সময় টেলিভিশনের পর্দায় ‘শ্যামার বৌদি’ হয়ে দর্শকের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘সুস্মিতা রায়’ (Susmita Roy)। পরে ‘জগদ্ধাত্রী’-তেও তাঁর অভিনয় মন কেড়েছিল সকলের। অভিনয়ের বাইরে, সমাজ মাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ঝলকও রোজ শেয়ার করেন তিনি নিজেই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এক প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিল ভক্তদের মনে—সুস্মিতার জীবনের অন্যতম বড় সঙ্গী, তাঁর স্বামী ‘সব্যসাচী চক্রবর্তী’র (Sabyasachi Chakraborty) অনুপস্থিতি!

বহুদিন ধরেই তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না অভিনেত্রীর ভ্লগে বা সমাজ মাধ্যমের পাতায়। অবশেষে জন্মদিনের দিনেই এই চর্চার অবসান ঘটান সুস্মিতা। বিশেষ দিনে একটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি জানান, সব্যসাচীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের পথে হাঁটা শুরু হয়েছে। তবে সেটি কোনও তিক্ততা বা হঠকারিতার ফল নয়। সুস্মিতা এবং সব্যসাচী দু’জনেই যৌথ বিবৃতিতে অনুরোধ করেছেন, এই প্রসঙ্গে আর যেন চর্চা না হয়। তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত একান্তই পারস্পরিক বোঝাপড়ার ফল।

তাঁরা তাঁদের ভবিষ্যৎকে আরও ইতিবাচক ভাবে গড়ে তুলতেই এই পথ বেছে নিয়েছেন। তাই এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানোই সকলের দায়িত্ব। এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা বলেন, “আমি বরাবরই ঘরোয়া মানুষ। সংসার করতে ভালোবাসি। আমাদের মধ্যে দূরত্ব এসেছে, বিচ্ছেদ হবে—তা ঠিক। কিন্তু ভালোবাসা এখনও আছে, আমি এখনও ওদের পরিবার বলেই ভাবি। তবু জীবনে এমন সময় আসে যখন সবচেয়ে আপন সম্পর্কেও দূরত্ব জন্মায়।

সেই দূরত্বে আমি নিজের সম্মান, নিজের আবেগ হারাতে চাই না। ভালোবাসার নাম করে নিজেকে ছোট করা ঠিক নয়।” পেশাগত দিক থেকেও জীবনে বড় পরিবর্তন এনেছেন তিনি। অভিনয়ের বাইরে নিজে থেকে একটি ব্যবসা শুরু করেছেন এবং সেই পথ একেবারেই সহজ ছিল না। সুস্মিতার কথায়, “আজকের চাকরির বাজারে নতুন ব্যবসা শুরু করাটা সত্যিই খুব বড় সিদ্ধান্ত। অনেকে পেছনে টানার চেষ্টা করেছে, অপমান করেছে, কিন্তু আমি ভাঙিনি।

আরও পড়ুনঃ রিয়্যালিটি শো থেকে মেলোডির নায়িকা! সুরের ডানা মেলে নতুন রূপে ফিরে এলেন অন্বেষা! এবার শ্রোতার মনে প্রেমের রঙ ছড়াতে নিজের ছন্দেই করলেন বাজিমাত!

আমি নিজেকে কুর্নিশ করি—এই লড়াই, এই মানসিক শক্তির জন্য। আমি জানি কীভাবে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হয়।” সবশেষে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, যদি ভবিষ্যতে সব্যসাচী ফিরে আসতে চান, তাহলে কী তিনি আবার সম্পর্কটিকে সুযোগ দেবেন? উত্তরে সুস্মিতা বলেন, “এই মুহূর্তে আমরা কেউই সেই বিষয়টা নিয়ে ভাবছি না। ভবিষ্যতে কী হবে, তা সময় বলবে। তবে আমি নিশ্চিত, যেহেতু সমাজ মাধ্যম এতটাই শক্তিশালী, এমন কিছু ঘটলে সবাই জানতেই পারবেন।”

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।