বাংলা টেলিভিশনে এমন কিছু ধারাবাহিক রয়েছে যার সাথে তার বেশ কিছু চরিত্র এবং তাদের সম্পর্ক গুলো মানুষের মনে গেঁথে যায়। তাই বহু বছর ধরে সেই সম্পর্ক গুলোকে মানুষ মনে রেখে দেয়। বাংলা টেলিভিশনের তেমন কিছু ধারাবাহিক হল স্টার জলসার ‘অপরাজিত’, ‘মা’ এবং ‘রাখি বন্ধন’। এই তিনটে ধারাবাহিক তিনটে সময় হলেও ধারাবাহিকের গল্পের একটা জায়গা ছিল কমন সেটা হল দুই ভাই বোনের সম্পর্কের মিল বা খুনসুটি। কিন্তু ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পরে এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের সম্পর্কগুলো কি ঠিক এমনই রয়ে গেছে?
প্রসঙ্গত ২০০৯ সালে স্টার জলসায় সম্প্রচারিত হতো মা ধারাবাহিকটি। বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে বেশিদিন সম্প্রচারিত হওয়া ধারাবাহিক গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এই ধারাবাহিকটি। সেখানে টিভির পর্দায় দেখা যেত ঝিলিক এবং বিল্টুর দুষ্টু মিষ্টি ভাই বোনের সম্পর্ক। যা দেখে মুগ্ধ হতো দর্শক। ঝিলিকের চরিত্রে অভিনয় করেছিল অভিনেত্রী তিথি বোস এবং বিল্টুর চরিত্রে অভিনয় করেছিল অভিনেতা আয়ুষ দাসকে। সময়ের সাথে সাথে তিথি এখন অভিনয় জগত থেকে অনেকটাই দূরে, কিন্তু আয়ুষকে এখনো দেখতে পাওয়া যায় টেলিভিশনের পর্দায়।
উল্টোদিকে ২০১১ সালে সম্প্রচারিত হতো ধারাবাহিক অপরাজিত যেখানে দুই ভাইবোন তিথি এবং পিকুর চরিত্রে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল দুই ছোট শিশুকে যারা হলো দিতিপ্রিয়া রায় এবং সোহম বসু রায়চৌধুরী। এতগুলো বছর পরে দিতিপ্রিয়া বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হয়ে গেছে এবং সোহমকেও এখন আমরা বেশ কিছু ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখতে পাই।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজেদের সম্পর্ক গুলো নিয়ে মুখ খুললেন এই অভিনেতা অভিনেত্রীরা। দিতিপ্রিয়া বলেন, “পিকুর সঙ্গে এখনও আমার যোগাযোগ আছে। সময়ের সঙ্গে মোটেই ফিকে হয়ে যায়নি সম্পর্কটা। বরং মজবুত হয়েছে। ও তো আমার ভাই নয়, এখন আমার দাদা হয়ে গিয়েছে। কোনও সমস্যা হলে আমায় মেসেজ করে। কাকিমা এখনও কোনও কিছু জানতে হলে আমার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ফোঁটা পালন করা না হলেও পিকু-তিতলির সম্পর্কটা একই রয়ে গিয়েছে।”
উল্টোদিকে তিথির কথায়, “অনেকগুলি বছর কেটে গিয়েছে। আমিও বহু দিন অভিনয় জগতে নেই। এখন আর তেমন ভাবে যোগাযোগ রাখা হয় না। তখন দু’জনেই ছোট ছিলাম। খুব মজা হত। আয়ুষও এখন অনেকটা বড়। সেই ভাবে যোগাযোগ নেই আমাদের।”