‘আমি যে কত বকুনি খেয়ে মানুষ হয়েছি, আর এখন আমার ছেলে-মেয়েকে বকতে গেলে মা রাগী চোখে তাকিয়ে থাকে!’ অকপট কোয়েল মল্লিক

৯০ এর দশক কিংবা তার আগের যাঁরা জন্মেছেন তাঁরাই জানেন এককালে বড়ো হওয়ার সময় তাঁদের কতই না বকুনি-মার খেতে হয়েছে। তবে, এখন দিনকাল অনেক বদলেছে। বদলেছে মানুষের চিন্তাভাবনা।

এখনকার বাবা-মা থেকে শুরু করে শিক্ষাগুরুরা পর্যন্তও বাচ্চাদের সেই অর্থে মারতে কিংবা বকেন না। তবে বর্তমানে এক টলি অভিনেত্রী মা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর কিছুটা নিয়েও আক্ষেপ কিংবা অভিযোগ রয়েছে এই বিষয়ে। রঞ্জিত মল্লিকের কন্যা কোয়েল তার সিনেমা ‘সোনার কেল্লায় যকের ধন’-এর এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান ব্যক্তিগত জীবনে মাতৃত্বের কথা।

অভিনেত্রী অনুরাগী থেকে শুরু করে বাংলার প্রায় সকল নেটিজেনেরাই জানেন রানে-কোয়েলের দুই সন্তান, কবীর আর কাব্য। কিন্তু, এই দুইরত্তিকে নিয়ে সামলাতেই নাজেহাল রঞ্জিত কন্যা। তাই, স্বভাববশত কখনো ছেলেমেয়েদের বকতে বাধ্য হন অভিনেত্রী। কোয়েল জানান, ‘আমি যে কত বকুনি খেয়ে মানুষ হয়েছি, কিন্তু আমি যদি একটুও বকি আমার বাবা-মা, বিশেষত আমার মা ভীষণ কড়াভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে।’

এমনকি ছেলেমেয়েদের সময়ের সঙ্গে তুলনা করে নিজের ছোটবেলাকার কথা মনে করে অভিনেত্রী বললেন, সেই সময়ে তাঁকেও প্রচন্ড বকা খেতে হয়েছে। কিন্তু ওই যে কথায় আছে আসলের থেকে সুদের দাম বেশি! তাই মেয়ের থেকে নাতি-নাতনিদের প্রাধান্য সবসময়ই বেশি থাকে দাদু-দিদার কাছে।

আরও পড়ুনঃ “আমার অল ওম্যান্স ফ্যামিলি, একমাত্র কন্যা সন্তান আমার!” অকপট স্বীকারোক্তি কাঞ্চনের! “বাবার নামে কলঙ্ক আপনি”, “যার কাছে প্রথম ‘বাবা’ ডাক শুনলেন, সেই ছেলেকেই ভুললেন?” ধুয়ে দিল নেটপাড়া

অভিনেত্রী জানান তাদের সময় অনেক বকুনি খাওয়ার পরে হয়তো শেষে একটু চোখটা ছল ছল করে উঠলো। কিন্তু এখন একটু চোখ বড় বড় করে তাকালেই কবীর কাঁদতে শুরু করে দেয়। আর, এতেই রেগে ওঠে মল্লিক দম্পতি।

You cannot copy content of this page