অরিন্দম শীল, টলিউড ইন্ডাস্ট্রির এই পরিচিত পরিচালক তথা অভিনেতাকে চেনেন না এমন খুব কম ব্যক্তিই রয়েছেন। তবে ইদানিংকালে এই অভিনেতাকে নিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য শোনা যাচ্ছে স্টুডিও পাড়ায়। পরিচালকের দাবী, তিলোত্তমা কাণ্ডে যে কয়েকজন অভিনেত্রীদের মুখ প্রতিবাদ মিছিলে দেখা গেছিল তারা কেবলই টাকা কিংবা নতুন মোবাইল পাওয়ার স্বার্থে এই কাজটি করেছেন।
আর, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই অভিনেতার প্রথম পক্ষের স্ত্রীয়ের এক সাক্ষাৎকার বেশ নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। অরিন্দমের প্রথম স্ত্রীর নাম তনুরুচি শীল। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জানা যায়, তনুরুচি দেবীও একসময় এই বিনোদন জগতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি শশুর বাড়ির জন্য চাকরিজীবনকেই বেছে নেন।
প্রসঙ্গত তনুরুচি জানান, নাটক করতে গিয়ে প্রাথমিকভাবে অভিনেতার সঙ্গে প্রেম হয় এবং পরে একসঙ্গে দীর্ঘ অনেক বছর সংসারও করেন তারা। কিন্তু পরবর্তীকালে দাম্পত্যের মাঝে এসে পড়ে তৃতীয় ব্যক্তি ফলত বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এই দুই ব্যক্তি এখন একসঙ্গে না থাকলেও তাদের আইনতভাবে বিচ্ছেদ ঘটেনি বলেই জানান তনুরুচি। তাই তিনি এখনো নামের পাশে শীল পদবী ব্যবহার করেন।
তনুরুচি জানান সেই সময় পিতৃহারা হলেও কাউকে তোয়াক্কা না করেই অভিনেতার বর্তমান সঙ্গিনী শুক্লা দেবীর সঙ্গে দার্জিলিং বেড়াতে চলে যান। এ হেনো ব্যবহারের মাধ্যমেই তনুরুচি অরিন্দমের মানসিকতার পরিচয় পান। তনুরুচি আরো জানান, তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটলেও টলিউডের বহু শিল্পীর সঙ্গে এখনো যোগাযোগ রয়েছে তার।
এরপর ধীরে ধীরে সাক্ষাৎকারে তনুরুচিকে ‘মি টু’ এবং অরিন্দমকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, “যে একজনকে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁর বিশ্বাসঘাতকতা করার প্রবণতা থাকে। যে একজনের বিশ্বাস ভাঙিয়ে সে আরেকজনেরও বিশ্বাস রাখবে তার কোনো স্থিরতা নেই”। অভিনেতা খুব গুনি পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিল বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই দক্ষতা ছিল তার, বললেন তনুরুচি।
আরও পড়ুনঃ চাকরিহারা বুবলাই! চাকরি যাওয়ার পিছনে স্বতন্ত্রকে দোষারোপ করল বর্ষা! নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবে কি নতুন কাকু? কি হতে চলেছে চিরসখা ধারাবাহিকে?
ভালো কিছু করার জন্য প্রথমেই আগে দরকার একজন ভালো মানুষ হওয়া, এই কথাই অভিনেতার প্রাক্তন স্ত্রী বললেন তাঁর উদ্দেশ্যে। এক কথায় এই দুই ব্যক্তির জীবনের পথ এখন আলাদা হয়েছে কিন্তু আজও তাঁরা কোনো এক বাঁধনে রয়েছে।