সুবিধাভোগী বুড়ি! ছেলের অবর্তমানে বৌমার থেকে সেবা নিয়ে এখন ছেলেকে পেয়েই পাল্টি মেরেছে! কমলিনীর শাশুড়ির চরিত্র অসহ্য, বলছেন দর্শকরা!

কথায় আছে মানুষের নিজের স্বার্থে ঘা লাগলেই তাঁর আসল রূপ সকলের সামনে বেরিয়ে আসে। তখন সে অন্য কারোর ভালো বা খারাপ চিন্তা করে না নিজেরটা ছাড়া। আবার, অনেক ক্ষেত্রে নিজের স্বার্থ মিটে গেলে একজন আরেকজনকে চিনতে পর্যন্ত পারে না।

আজকালকার দিনে, এরকম ধরনের ঘটনা আকচার ঘটেই থাকে। আর, কিছুটা এমন ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক চিরসখা’তে। এই মুহূর্তে এই সিরিয়ালের গল্প দেখা যাচ্ছে কমলিনীর স্বামী দীর্ঘ কুড়ি বছর বাদে মুখার্জি বাড়িতে ফিরে এসেছে।

এই দেখে খুব স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির সকলে খুশি হয়েছে। বিশেষ করে মায়ের কোলে তাঁর সন্তান ফিরলে সেই খুশির সীমা থাকবে না, তা হতেই পারে। কিন্তু, চাঁদু ফিরে আসাতে বাড়ির সকলে খুশি হলেও কমলিনী একেবারেই খুশি নয়। কারণ, এক সময় তাঁর স্বামী থাকাকালীনও সে যে বিশেষ সুখ কমলিনীকে দিতে পেরেছে এমনটা নয়।

আর, তাই ২০বছর পর কমলিনী চাঁদুর প্রতি সেই টান কিংবা ভালোবাসা কোনোটাই অনুভব করে না। এই কারণে বাড়ির সকলকে সাক্ষী রেখে কমলিনী তাঁর স্বামীর কাছে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছে। এই কথা শোনা মাত্রই তাঁর শাশুড়ির কাছে সে চক্ষুসূল হয়ে উঠেছে।

এখানেই সেই মানুষের স্বার্থের কথা উঠে আসছে। এখন আর বৌমাকে সহ্য করতে পারছে না কমলিনীর শাশুড়ি। কিন্তু, এতদিন এই বৌমার সেবাতেই তিনি ছিলেন পরম যত্নে। তবে, আজ যেই নিজের ছেলে ফিরেছে তাই আর বৌমার থেকে পাওয়া সমস্ত কিছুই এক নিমেষে ভুলে গেছে।

আরও পড়ুনঃ “হিরোইন হতে চাইনি, অভিনেত্রীই ভালো আছি!” “নতুন প্রজন্মের দায়িত্ববোধ কম, বড়দের সম্মান করতে জানে না, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করায়!”— ইন্ডাস্ট্রির নতুন প্রজন্মকে নিয়ে বি’স্ফো’রক মৌসুমী সাহা!

তবে, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের এই গল্প যেদিকে এগোচ্ছে তাতে প্রায় ধারাবাহিকের অনেক চরিত্রই সমালোচনার শিকার হচ্ছে। বিশেষত, কমলিনীর শাশুড়িকে দেখে যেনো বাংলার একাংশ মহিলারা তাঁদের বাস্তব জীবনের শাশুড়িদের সঙ্গে মিল পায় বলেও জানা যাচ্ছে। তবে, এই সিরিয়ালের লেখিকা সমালোচকদের কথায় কান না দিয়ে নিজেদের মতো করে গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।