“এটা কেমন ভাই বোনের সম্পর্ক জানা নেই! ৮-১০ বছর স্ট্রাগল করে আমাকে বিকিনি পরে ঘুরতে হয় না…যথেষ্ট অভিনয় পারি, তাই কাজ পাই!”, “পাবলিসিটির জন্য সাধারণ কোরিওগ্রাফারের সাহায্য নেব কেন?”— অভিনেত্রী পল্লবীকে ধুয়ে দিলেন নয়না! প্রকাশ্যে পল্লবী-টুবানের ঘনিষ্ঠ ছবি

কয়েক বছর আগে মুম্বইয়ে পা রেখেছেন অভিনেত্রী ‘পল্লবী মুখোপাধ্যায়’ (Pallavi Mukherjee)। সেখানে তিনি একের পর এক হিন্দি ধারাবাহিকের পাশাপাশি অল্ট বালাজির একটি ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন। তবে তাঁর কেরিয়ার শুরু হয়েছিল জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘মীরাক্কেল’-এর মঞ্চ থেকেই। সম্পর্কে তিনি অভিনেতা এবং ইনফ্লুয়েন্সর সায়ক চক্রবর্তীর পাতানো বোন। সম্প্রতি টলিপাড়ায় প্রকাশ্যে এসেছে, এক ডান্স কোরিওগ্রাফারের অমানবিক রূপ! ডান্স বাংলা ডান্সের সূত্রে পরিচিত ডান্স কোরিওগ্রাফার ‘টুবান চক্রবর্তী’ (Tuban Chakraborty) নাকি বিবাহিত হয়েও একাধিক মহিলার সঙ্গে সহবাস করেছেন।

এমনকি জনপ্রিয় অভিনেত্রী ‘নয়না গঙ্গোপাধ্যায়’কে (Naina Ganguly) বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্কে গেছেন। দিনের পর দিন তাঁকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছেন। কার্যত অভিনয় থেকে দূরে এক ঘরে করে রেখে দিয়েছিলেন তাঁকে। মুম্বাই এবং দক্ষিনী ইন্ডাস্ট্রিতে সকল অভিনেত্রী হওয়া সত্বেও টুবানের কথায় সবকিছু ছেড়ে দিয়ে প্রকার তার বন্দী হয়েই ছিলেন নয়না। কিন্তু সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, একাধিক মেয়ের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন টুবান এবং পরিচয় দিচ্ছেন ছাত্রী। কিন্তু যাকে এতদিন বিয়ে প্রস্তাব দিয়ে একবারে করে রেখেছেন, তাঁর সঙ্গেই একই বাড়িতে থাকেন না।

এরপর সমাজের মাধ্যমে এসে নয়না সমস্ত কিছু খুলে বলেন। পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠকেও তথ্য প্রমাণ দেন। তারপর থেকে আসতে শুরু করে নানান রকম হুমকি এবং কিছু সহকর্মীর কাছ থেকে কটাক্ষ। তাদের মধ্যে পল্লবীও একজন। নয়না সবকিছু খুলে বলে পরেই পল্লবী সমাজ মাধ্যমে লেখেন, “নয়না গাঙ্গুলি, তোমার ভুয়ো অভিযোগের জবাব! আমি আগে একটি মন্তব্য করেছিলাম আর কিছু কথা বলেছিলাম, কিন্তু মনে হচ্ছে তুমি হয় সেটা মুছে দিয়েছো নয়তো আমাকে ব্লক করেছো। তুমি সবচেয়ে নোংরা খেলা খেলছো!

আমি পাশে দাঁড়াচ্ছি সোহম চক্রবর্তী, টুবান দার। আমি ওনাকে ২০০৯ সাল থেকে চিনি – খুব কাছ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে। তিনি আমার শিক্ষক ছিলেন, দাদার মতো, আর আমাদের পরিবারের অংশ। আমার মা আর আমি ওনার সঙ্গে অনেক স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছি। আমরা ওনাকে সেরা সময়ে যেমন দেখেছি, তেমনই সংগ্রামের দিনগুলোতেও দেখেছি। এখন ওনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমি বিস্মিত, কারণ যাঁকে আমি চিনি তাঁর সঙ্গে এই অভিযোগগুলো মেলে না। বিচার শুরু করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন এটা কি সঠিক?

শুধু নিজের সুবিধার জন্য কারও জীবনকে এভাবে প্রকাশ্যে ধ্বংস করতে চান? শুধুমাত্র মেয়ে বলে কি এভাবে নোংরা পথে নামা উচিত? দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশে কোনও মহিলা যদি পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, মানুষ সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বাস করে। যদি এটা কেবল মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার জন্য হয় কিংবা পুরনো কোনও হিসেব মেটানোর জন্য, তবে ভেবে দেখুন আপনার কথাগুলো কতটা ক্ষতি করছে।” এই বক্তব্যের প্রতিবাদে এদিন নয়না সবার সামনে আবারও কিছু বিস্ফো’রক তথ্য এবং পল্লবী আর টুবানের “ভাই-বোন” সম্পর্কের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

তিনি এদিন সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও করে জানান যে, টুবানের সম্পর্কে সব কথাই সত্যিই। তার সঙ্গে সম্পর্ক জড়ানোর আগে চার বছর ধরে নিজের স্ত্রীর থেকে দূরে তিনি। এরপর দের বছরেও বেশি নিজের সঙ্গে সহবাস করেছেন আপ্তসহায়কের সঙ্গে। নয়না কৌতূহল প্রকাশ করার জানিয়েছিলেন, তার বাড়ি অনেক দূরে আর টা ছাড়াও টুবানের মায়ের বয়স হচ্ছে তাই দেখাশোনার লোক হিসেবে এখানে থাকছে। যদিও মা সবকিছু সত্যি নয়নাকে জানিয়েছিলেন। এছাড়াও এদিন সোজাসুজি পল্লবীকে এক হাত নেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ রাতে ফ্যাক্টরিতে কাজ, ছাত্র পড়ানো এমনকি শিশুদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার মতো কাজ করেছেন তিনি! জীবনযুদ্ধে কঠিন লড়াই লড়ে আজ একাকীত্ব গ্রাস করেছে শঙ্কর চক্রবর্তীকে

নয়না বলেন, “আমি পাবলিসিটি করার জন্য একটা সাধারন কোরিওগ্রাফারের সাহায্যে কেন নেব? আমার যথেষ্ট নাম আছে ইন্ডাস্ট্রিতে, আর আমাকে বিকিনি করে ঘুরতে হয় না। যথেষ্ট অভিনয় পারি সেটা দিয়েই চলে যায়। ৮-১০ বছর স্ট্রাগল করার পরেও যাকে মানুষ চেনে না, তার উল্টে পাবলিসিটি প্রয়োজন বলেই আমার বিষয়ে মাথা মাথা ঘামাচ্ছে।” ঠিক তারপরেই কিছু ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি, যেখানে নাচের ভঙ্গিমায় অতি ঘনিষ্ঠ অবস্থায় টুবান এবং পল্লবীকে দেখা যাচ্ছে। প্রশ্ন রেখেছেন ভাই বোনের সম্পর্ক কি এমনই হয়?