তিনি বাংলা সিনে দুনিয়ার (Film Industry) বর্ষীয়ান তারকা অভিনেত্রী। ৮২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর বাংলা সিনেমা জগতেও তার অবদান অপরিসীম। তিনি কিংবদন্তি (Legendary actress) । একটা সময় যেরকম সিনেমার পর্দা কাঁপিয়েছেন সেই রকমই এখনও এই বয়সেও ধারাবাহিকের দুনিয়াতে তার অবাধ গতিবিধি। অল্প বয়সী অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে আজও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অভিনয় করে চলেছেন তিনি।
সিনেমা দুনিয়ায় এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর পথ চলা শুরু হয় একজন শিশুশিল্পী হিসেবে। কিন্তু এরপর তাকে আর কখনই পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সফল সিনেমার অংশ হয়েছেন তিনি। বাংলা সিনেমার সমস্ত প্রখ্যাত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। তার অভিনয় বিমুগ্ধ করেছে দর্শকদের। তার অভিনয়ের সাফল্য তাকে বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রীর খ্যাতি এনে দিয়েছে।
ভারতীয় সিনেমার একাধিক কিংবদন্তি পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। তাদের ক্যামেরায় নায়িকা হয়ে ধরা দিয়েছেন তিনি। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, তপন সিনহা, কে নেই সেই তালিকায়! সত্যজিতের ‘চারুলতা’,‘কাপুরুষ’,‘মহানগর’-এর নায়িকা তিনি। এছাড়াও, ‘ছদ্মবেশী’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’, ‘স্ত্রীর পত্র’, ‘শঙ্খবেলা’, ‘গণদেবতা’র মতো বিভিন্ন সব কালজয়ী ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
জানেন কী অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের আসল নাম কী ছিল?
জানা যায় প্রখ্যাত অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের আসল নাম ছিল মাধুরী। মৃণাল সেনের ‘বাইশে শ্রাবণ’ ছবিতে যখন তিনি অভিনয় করছেন, তখন ১৯৬০ সালে প্রযোজক বিজয় চট্টোপাধ্যায় অভিনেত্রীর নাম পরিবর্তন করে দেন। মাধুরী হয়ে যান মাধবী। আর নিজের আসল নাম ভুলে মাধবী নামেই বিখ্যাত হয়ে ওঠেন এই অভিনেত্রী।
সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি মঞ্চেও অবাধ দাপট ছিল এই অভিনেত্রীর। অসাধারণ মঞ্চাভিনেত্রী ছিলেন তিনি। অভিনয়কে ভালোবেসে একটা সময় বিয়ে করবেন না বলেও স্থির করেছিলেন মাধবী মুখার্জি। কিন্তু পরে সুদর্শন অভিনেতা নির্মল কুমার চক্রবর্তীকে প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করেন তিনি। একটা সময় তো মাধবী মুখার্জি ‘চক্রবর্তী’ পদবী ব্যবহার করতেন। জানা যায়, স্বয়ং উত্তম কুমার বরকর্তা হয়ে উপস্থিত ছিলেন তাদের বিয়েতে। নিজেদের দুই মেয়ের বিয়ের পর দীর্ঘ ২৫ বছরের দাম্পত্য শেষে তারা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। এখন দুজনে আলাদা থাকলেও মেয়েদের উদ্যোগে কখনও কখনও দেখা হয় তাদের।যদিও আজও নির্মলের নামের সিঁদুর পরেন মাধবী মুখার্জি।