বিনোদন দুনিয়ায় ফের শোকের ছায়া! ৮৭ বছর বয়সে না-ফেরার দেশে কিংবদন্তি নায়িকা!

শেষ কয়েক মাসে বিনোদন জগতে যেন অশুভ ছায়া নেমে এসেছে। একের পর এক তারকার প্রয়াণে থমথমে হয়ে রয়েছে টলিউড, বলিউড সহ গোটা সিনেমা দুনিয়া। স্বপ্নের পর্দার মানুষগুলো একে একে বিদায় নিচ্ছেন। এবারও এল এক গভীর আঘাত।

রবিবার, ১৪ জুলাই সকাল। দক্ষিণ ভারতের এক শান্ত শহর ব্যাঙ্গালোর হঠাৎই নিঃশব্দে কান্নায় ভেঙে পড়ল। সেইদিনই নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এক কিংবদন্তি অভিনেত্রী। পরিবার সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে তাঁর প্রয়াণ যে কী পরিমাণ শূন্যতা তৈরি করল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

মাত্র ১৭ বছর বয়সেই বড়পর্দায় পা রাখেন তিনি। প্রথম ছবি দিয়েই দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কর্মজীবনে তিনি একের পর এক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করে জায়গা করে নিয়েছিলেন দর্শকের হৃদয়ে। তাঁর অভিনয় দক্ষতা, সৌন্দর্য এবং পর্দার উপস্থিতি তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য উচ্চতায়।

শুধু দক্ষিণেই নয়, বলিউডেও তাঁর দাপুটে উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। তিনি কাজ করেছেন দিলীপ কুমার, শাম্মি কাপুরের মতো প্রথম সারির অভিনেতাদের সঙ্গে। সহ-অভিনেতাদের থেকে নিয়েছেন অভিনয়ের সূক্ষ্ম পাঠ। তাঁর প্রতিটি চরিত্র ছিল বাস্তবের প্রতিচ্ছবি। আর সেখানেই তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়।

আরও পড়ুনঃ “আমি বলেছিলাম, এটা একেবারেই পছন্দ হয়নি!” “আমার বক্তব্যটাই বাদ দিয়েছে!”— ডান্স বাংলা ডান্সে দেবলীনার ‘চণ্ডালিকা’ বিতর্কে ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা শঙ্কর! রবীন্দ্র-নাটিকায় হিন্দি গানে ভাইরাল নাচ ঘিরে নির্মাতাদের কাঠগড়ায় তুললেন তিনি!

হ্যাঁ, এতক্ষণ যাঁর কথা বলা হল, তিনি দক্ষিণী চলচ্চিত্রের এক জীবন্ত ইতিহাস – সরজা দেবী (Sarja Devi)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তামিল, তেলেগু, কন্নড় ও হিন্দি – এই চার ভাষার প্রায় ২০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘মহাকবি কালিদাস’ থেকে শুরু করে একের পর এক স্মরণীয় ছবি— সরজা দেবীর ঝুলিতে শুধুই সাফল্য। আজ তাঁর প্রয়াণে থমকে গেছে একটি যুগ। খুশবু সুন্দর পর্যন্ত লিখেছেন, “এটি এক স্বর্ণযুগের অবসান”। সত্যিই, ভারতীয় সিনেমা হারাল এক অনন্য রত্নকে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।