ডাব্বু রত্নানি (Dabboo Ratnani) হলেন বলিউডের এক অনন্য জাদুর মালিক। আর তাঁর জাদুর মায়ায় মোটামুটি বলিউডের সবাই একবার করে অংশগ্রহণ করে নিয়েছেন। মূলত অদ্ভুত মায়াবি ছবি তোলার জন্য তিনি বিখ্যাত অথবা কুখ্যাতও বলতে পারেন। আসলে ডাব্বু রত্নানি ও তাঁর ক্যালেন্ডারের ফটোশ্যুটের জাদুই আলাদা। জাদু করতে জাদুগরেরো দরকার। তাই একের পর এক তাবড় অভিনেত্রীদের বেছে নেন তিনি। সেই তালিকায় সানি লিওনি (Sunny Leone) থেকে কিয়ারা আদবানি (Kiara Advani) কেউই বাদ যায়নি। বাদ থাকেনি বিদ্যা বালনও (Vidya Balan)।
আবার একদিকে বিদ্যা বালন, বলিউড এরকম অভিনেত্রী খুব কম পায়। মূলত দৈহিক ও বাহ্যিক সৌন্দর্য ও তারপর অভিনয় সব মিলিয়ে একজন অভিনেত্রী হিসেবে বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেতে চায়। কিন্তু সেইসব কিছুকেই দশ গোল দিয়ে দেন অভিনেত্রী বিদ্যা বালন। আসলে সব কিছুকেই।
কোন লুকে তিনি মাতিয়ে উঠতে পারেন না। তিনি ভারতের যেকোনও কোনের মানুষ হয়ে উঠতে পারেন। তিনি দক্ষিণী নায়িকা হতে পারেন, তিনি একদম বাঙালি কন্যা বা লাল পাড় সাদা শাড়ির বঙ্গ নারী হতে পারেন, তিনি একদম দিল্লি মুম্বইয়ের লেডি হতে পারেন।
আবার একটু মোটা নাদুশ নুদুশ বাড়ির সংসারী বউ হতে পারেন তেমনই একদম হ’ট, বো’ল্ড, সে’ক্সী পার্টি গার্লও হতে পারেন। এই সবকটি লুকেই বিদ্যা ব্যালন মাতিয়ে দিতে পারেন। তার প্রমাণও আমরা বহুবার পেয়েছি। এমনিতে তাঁকে সবসময় এথনিক ড্রেস ও শাড়িতে দেখা যায়, কারণ তিনি নিজেকে তাতেই দেখতে ভালোবাসেন।
কিন্তু বিদ্যা ব্যালন যখন নিজের বো’ল্ড অবতারে নামেন, তখন চারপাশে কেউ থাকে না। আর তিনিও একবার জাদু দেখিয়েছিলেন ডাব্বু রত্নানির সঙ্গে। সেই ছবি যদিও ডার্টি পিকচারের সময়। ডাব্বু রত্নানির বৈশিষ্ট্যই হল ট’পলেস অথবা সেমি নি’উড ফটো শ্যুট।
সানি লিওন থেকে দিশা পাটানি, আবার ওদিকে শ্রদ্ধা কাপুর থেকে কিয়ারা আদবানি সবাইকেই এই রূপেই দেখা গিয়েছিল। কেউ আড়াল হয়েছিলেন বড় গোলাপী টুপির পিছনে, কেউ আড়াল হয়েছিলেন বড় পাতার পিছনে। কেউ হাঁটু মুড়ে বসে আছেন আবার কেউ লম্বা চুল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রেখেছিলেন। বিদ্যাও সেই স্টাইলে ধরা দিয়েছিলেন।
চোখে চশমা, ডার্ক রেড লিপস্টিক, পায়ে কালো হিল আর হাতে খবরের কাগজ। ফটোশ্যুটের ড্রেস বলতে এটাই। তবে শুধু এই ছবিতে কী হবে, তাতে যে আদব কায়দা বিদ্যা বালন দেখিয়েছেন, যাকে বলে সোশ্যাল মিডিয়ার ভাষায় “দ্য ব্যাড গার্ল”। তবে অনেকেই এই ছবি দেখে বিদ্রুপ করে বলেছিলেন, “পেজ থ্রির জন্য খবরের কাগজই একমাত্র সম্বল বটে”।