২০২১ সালে আয়োজিত সর্বভারতীয় গানের প্রতিযোগিতা জি টিভির পর্দায় শুরু হওয়া গানের লড়াই ‘সারেগামাপা’-র (Saregamapa) মঞ্চে সবচেয়ে বেশি করে বিচারকদের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন বাংলার প্রতিভা অনন্যা চক্রবর্তী (Ananya Chakraborty) । প্রথমেই তিনি নিজের সিগনেচার স্টাইলে একতারা হাতে সর্বভারতীয় মঞ্চে বাউল গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও ‘সারেগামাপা’-র মঞ্চে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়েও প্রশংসা কুড়োন অনন্যা।
গায়িকা অনন্যা চক্রবর্তীকে কি মনে আছে আপনার?
বাংলা সারেগামাপার মঞ্চ মাতানোর পর হিন্দি সারেগামাপার মঞ্চেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তার কন্ঠে লোকসঙ্গীত বারবার প্রশংসিত হয়েছে। জানা যায়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোকাল মিউজিকের ছাত্রী অনন্যা বাউল মেলায় ঘুরতে গিয়ে বর্ধমানের আন্দুলে সাধনদাস বৈরাগী-র আশ্রমে উপস্থিত হয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই শুরু হয় তার বাউল গানের সাধনা।
আসলে শৈশব থেকেই সঙ্গীতের পরিবেশে বড় হওয়া অনন্যা আত্মস্থ করেছেন বাউল গান। তাঁর নিজস্ব গানের স্টাইলে মুগ্ধ হয়েছিলেন জাতীয় বিচারক হিমেশ রেশমিয়া, বিশাল দাদলানি ও শঙ্কর মহাদেবন। তবে শুধু কী গান? অনন্যার বোহেমিয়ান লুকেও মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তারা।
পশ্চিমবঙ্গের বজবজের বাসিন্দা অনন্যা বাংলা গানের দুনিয়ার বেশ পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে বেশ কয়েক বছর ধরেই।
একতারা হাতে অনন্যার বাউল গান মুগ্ধ করেছে আপামর বাঙালি শ্রোতাকে। অনন্যার এই অনন্য কণ্ঠস্বর মন জয় করেছে সবার। সম্প্রতি ২৭ বছরে পা রেখেছেন বাংলার এই গানের প্রতিভা। বেশ জমাটি উদযাপন করেছেন এই বছর। কিন্তু অনন্যার মতো এই দামাল কণ্ঠস্বরকে বাংলায় সেই অর্থে তেমন শোনা যায় না! বরং অনেক বেশি তিনি বলিউড ঘেঁষা। কিন্তু কেন?
কেন কলকাতায় গান গান না অনন্যা?
এক কথায় এই বিষয়ে অনন্যা বলেছেন বাংলায় কাজের সুযোগ খুবই কম। কারণ তিনি লোকসংগীত শিল্পী। আর বাংলা সিনেমায় সেই অর্থে লোকসঙ্গীতের ব্যবহার হয় না। এবং হলেও যে তিনি সুযোগ পান এমনটা নয়। সেই জায়গায় বম্বেতে তাকে লোক সঙ্গীতের পাশাপাশি হিন্দি গান গাওয়ারও সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
অকপট গলায় গায়িকা বলেন এখানে যেভাবে কাজ পাওয়ার কথা ছিল সেই ভাবে কাজ পাইনা হয়ত আমার মতো অনেকেই পায় না। লোকে এখানে কাজ পায় কিভাবে সেটাই বড় আশ্চর্যের। একইসঙ্গে গায়িকা বলেন কলকাতায় তো অর্ধেক সময় কাজ করে পারিশ্রমিকই পাওয়া যায় না। টাকার কথা বলতে গেলেই লোকে আঁতকে ওঠে। কিন্তু সেই কালচারটা বম্বেতে নেই সেখানে তুমি ছোট হও কি বড় তোমার যেটা পারিশ্রমিক সেই ন্যায্য টাকা তোমাকে দেওয়া হবেই। আর সেই জন্যই কলকাতা ইন্ডাস্ট্রির তুলনায় বম্বেতে কাজ করার পরিসরটা আমার অনেকটাই বেশি।
View this post on Instagram