স্টার জলসার (star jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক শুভ বিবাহ(Subho bibaho)। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে গল্প এবার রীতিমতো জমে উঠেছে। ঠাম্মি সুধাকে একটা চ্যালেঞ্জ দিয়েছে আর সুধা সেটা একসেপ্ট করেছে, অন্যদিকে তেজ নিজে নিজেই নিজের মাথায় একটা গুরু দায়িত্ব তুলে নিয়েছে। অন্যদিকে সুধা, তেজ, জ্যোৎস্না প্রত্যেকেই উঠে পড়ে লেগেছে একে অন্যের পর্দা ফাঁস করবার জন্য! এভাবেই শুভ বিবাহের রীতিমতো টান টান পর্ব দেখা যাচ্ছে।
৩১ আগস্ট শুভ বিবাহের পর্ব/31 August Subhobibaho episode –
এই ধারাবাহিকের শুরুতে দেখা যায় যে, সুধা মনে মনে ভাবতে থাকে যেভাবেই হোক না কেন তাকে ফন্টে আর কাতলাকে খুঁজে বের করতেই হবে। অন্যদিকে সুধাও এটা জানতে পেরে গেছে যে, ফন্টের সাথে যোগাযোগ আছে তার বোন দোয়েলের। অন্যদিকে ঝিনুক বাড়ি ফিরতেই তার মা তাকে প্রশ্ন করে তুই কোথায় গিয়েছিলিস কাল রাতে? তুই বললি দিদির বাড়িতে যাবি কিন্তু ওদের ঠাম্মি ফোন করে বলল, তুই ওখানে যাসনি। ঝিনুক বোঝানোর চেষ্টা করে সে ঐ বাড়িতেই ছিল এবং সমুদ্রের সাথে ছিল কিন্তু তার মা বুঝতে চায় না।
অন্যদিকে দোয়েল তার মাকে বলে ঝিনুকের সাথে সমুদ্রের সম্পর্ক আছে। তাই তার মা যেন তাড়াতাড়ি ওই বাড়িতে গিয়ে ওই বাড়ির ছেলের সাথে তার বিয়ের সম্পর্ক ঠিক করে। এদিকে সুধা ঝিনুককে ফোন করে বলে যে, তোর একটা সাহায্য দরকার কিন্তু ফোনে বলা যাবে না তুই দেখা কর। এরপর ঝিনুক রাজি হয়। ওদিকে তেজ ভালোভাবে ভিডিও ফুটেজটা দেখতে থাকে তখন সেখানে বিজিত চলে আসে এবং বলে, জামাইবাবু কোনও ক্লু পেলেন? তখন তেজ বলে, এই তো ভিডিওর এই জায়গাটা দেখো, তাহলেই বুঝতে পারবে কত বড় গোলমাল হয়েছে!
ভিডিওর সেই জায়গায় দেখা যায় ইচ্ছা করেই চিঠিটা বদলে দিয়েছিল ওয়েটারটা। তখন তেজ বলে , এই ওয়েটারের ঠিকানা, নাম আমাকে দিতে পারবে? বিজিত বলে, হ্যাঁ পারব। ওদিকে ইমন ভাবে যে, এতক্ষণ তো এসি সারানোর কথা নয়! এত সময় লাগছে কেন? তখন ইমন কোম্পানিতে ফোন করে, সেখানকার লোক জানায় যে তারা আজকে কোন লোককে সার্ভিসিং এ পাঠায়নি। কিন্তু বিজিত বিষয়টা ম্যানেজ করে নিয়ে বলে, সে এই লোকটিকে ডেকে পাঠিয়েছিল।
ওদিকে ইমন নিজের ল্যাপটপ খোলা দেখে ভাবতে থাকে সে তো ল্যাপটপ পাসওয়ার্ড দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে গিয়েছিল, তাহলে তার ল্যাপটপ কে খুলল? আর ঝিনুককে বলে যে যেভাবেই হোক দোয়েলের থেকে জানতে হবে ফন্টেরা কোথায় আছে! ঝিনুক বলে সে এই কাজটা করে দেবে। অন্যদিকে জ্যোৎস্না বাড়িতে গিয়ে ঠাম্মিকে বলে দেয় সুধায় তার সাথে গেলেও কোথায় যেন চলে গেছে আর রাস্তায় সুধাকে দেখতে পেয়ে ছদ্মবেশে তেজ হাত ধরলে সুধা তাকে চিনতে পারে না।
আরও পড়ুন: ‘বাবার সামনেই জুতো বিক্রেতা স্কার্টের তলায়…’ কী ঘটেছিল বিদীপ্তার সঙ্গে? ছোটবেলার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন অভিনেত্রী
এরপর জ্যোৎস্না যখন ঠাম্মিকে বলছে আমি সুধাকে খুঁজে পায় নি, তখন তেজ এসে বলে, উনি তো তোকে অনেক খুঁজেছেন রে দিদি! তুই কোথায় চলে গিয়েছিলিস বল তো? এরপর জ্যোৎস্না বলে, সুধা ওখানে ছিল না। তখন সুধা বলে, দিদি তুমিও তো মন্দিরে ছিলে না। জ্যোৎস্না তখন বলে, সর্বনাশ তবে কি সুধা জানতে পেরে গেল যে সে সুদীপ্তর সাথে দেখা করতে গিয়েছিল! এরপর সুধা যখন ঠাম্মিকে বলতে যায় যে, সে মন্দিরে ছিল এবং দেখতে পেল দিদি কোথায় চলে যাচ্ছে তখন জ্যোৎস্না তাকে থামিয়ে দেয় এবং বিষয়টাকে বদল করার চেষ্টা করে।