কেকে কাণ্ডের পরও লজ্জা নেই! কুণালের হয়ে গান বাঁধতেই নেটনাগরিকদের রোষের মুখে পড়ে বিপাকে রূপঙ্কর
এবার পুজোয় অভিনব উদ্যোগ। মুক্তি পাচ্ছে গীতিকার কুণাল ঘোষের তিনটি ভিন্ন স্বাদের গান। প্রেমের পাশাপাশি নারীনিগ্রহের বিরুদ্ধেও কলম ধরেছেন তিনি। তৃণমূলের মুখপাত্রের লেখা প্রেমের গান গেয়েছেন রূপঙ্কর বাগচী ( Rupankar Bagchi )। সেই খবর সমাজমাধ্যমে জানান স্বয়ং কুণাল ঘোষ ( Kunal Ghsoh )।
কুণাল ঘোষের গানকে কটাক্ষ বামনেতা শতরূপ ঘোষের
কুণাল ঘোষের সেই পোস্ট সমাজমাধ্যমে রি-শেয়ার করে বামনেতা শতরূপ ঘোষ লিখছেন, ‘রূপঙ্করদা আজ রাতে একবার লাইভে এসে ‘হু ইজ় কুণাল ম্যান???’ বলে দিন তো…’! ক্যাপশনে কি শতরূপ গায়ক রূপঙ্করকি বিঁধেলেন? উত্তরে বামনেতা জানান, ‘আরজি কর-কাণ্ডকে চাপা দেওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি তিনি অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্যকে কুৎসিত ভাষায় ব্যঙ্গ করেছেন। সেই ব্যক্তির লেখা গান রূপঙ্করদা গাইছেন! মেনে নিতে পারলাম না।’
রূপঙ্করকে দেওয়া বার্তা প্রসঙ্গে শতরূপ ঘোষ
বামনেতার কথায়, গায়ক রূপঙ্কর বাগচী তিলোত্তমার বিচার চেয়ে প্রতিবাদ মিছিলে হেঁটেছেন। তবে এমন এক জনের গান গাইলেন, যিনি চূড়ান্ত নারীবিদ্বেষী। কিছুতেই দুটি ঘটনা মেলানো যায় না। শতরূপের আরও দাবি তিনি রূপঙ্করকে গায়ক হিসাবে ভীষণ পছন্দ করেন। সেই আবেগের জায়গা থেকেই তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।
শতরূপকে পাল্টা রূপঙ্কর বাগচীর
শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষে লেখা গান গেয়ে কেমন লাগল রূপঙ্করের? সমাজমাধ্যমে শতরূপের বার্তায় কি তাঁর নজর পড়েছে। প্রথম প্রশ্নের উত্তরে গায়ক বলেন, ‘তিন বছর আগে কুণালদার লেখা গান প্রথম গেয়েছিলাম। এটি আমাদের একসঙ্গে দ্বিতীয় গান। বেশ ভাল লেখেন কুণালদা। ভালোবাসার গানটি গেয়ে আমি তৃপ্ত।’ শতরূপের মন্তব্য প্রসঙ্গে গায়ক বলেন, তিনিও শতরূপকে ভালোবাসেন। তাঁর গিটার বাজানো, বাগ্মিতার অনুরাগী। বার্তার বদলে বামনেতার জন্য ভালোবাসা দিলেন গায়ক।
আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতির চাপে কী হেরে যাবে রাইপূর্ণা? আত্মসম্মান মাটিতে মিশিয়ে অনির্বাণের থেকেই ‘সেরা কর্মচারী’র পুরস্কার নেবে সে?
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে গায়ক রূপঙ্কর বাগচী সমাজমাধ্যমে “হু ইজ় কেকে ম্যান” বলার পরেই কাকতালীয়ভাবে গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ তথা কেকে-র মৃত্যু হয় কলকাতার এক অনুষ্ঠানে। লাইভ মঞ্চে গান গাইতে গাইতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় চিরবিদায় নেন কিংবদন্তী গায়ক। বিষয়টি মনে করিয়ে দিতে রসিকতা শতরূপের। মজা করে বললেন “নিশ্চিন্তে থাকুন। শকুনের শাপে গরু মরে না!”