একটা ফোন ধরতে না পারায় অনুশ্রীকে রাতারাতি বাদ দিল টিম চিরদিনই তুমি যে আমার! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিনেত্রী

অনুশ্রী দাস নামটা এখনও দর্শকদের মনে টাটকা। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকে শেষবার দেখা মিলেছিল তাঁর। তারপর সময় কেটে গিয়েছে কয়েক মাস। পর্দায় আর দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে। স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল, অনুশ্রী এখন কোথায়, কী করছেন। অনেকে আবার ভেবেছেন তিনিও কি ছোটপর্দা থেকে সরে দাঁড়ালেন অন্যদের মতো।

ইদানীং টেলিভিশন জগত নিয়ে অনেক অভিনেত্রীই বিরক্তি প্রকাশ করছেন। কেউ বলছেন একই চরিত্রে একঘেয়ে হয়ে গিয়েছে সবকিছু, আবার কেউ সরাসরি জানিয়েছেন আর কোনও আগ্রহ নেই তাঁদের ছোটপর্দায়। দেবযানী চট্টোপাধ্যায় যেমন আটক না গিয়ে জানিয়েছেন, টেলিভিশন আর কিছু নতুন দিচ্ছে না তাঁকে। তাই তিনি বিরতি নিতে চান। ফলে প্রশ্ন উঠেছিল অনুশ্রীও কি সেই পথেই হাঁটলেন। কিন্তু অভিনেত্রী পরিষ্কার জানালেন, তাঁর অদৃশ্য হওয়ার কারণ একেবারেই ভিন্ন।

অনুশ্রী জানান, ধারাবাহিকে প্রথম দিকে তিনি নিয়মিতই ছিলেন। কিন্তু প্রায় একমাস তাঁকে কোনও শুটিং ডেট দেওয়া হয়নি। সম্ভবত তখন গল্পে তাঁর চরিত্রের ভূমিকা ছিল কম। তারপর প্রায় দেড় মাস পর এক অদ্ভুত ঘটনা। রাতের বেলা প্রোডাকশন টিম ফোন করে। কিন্তু তখন ফোন হাতে না থাকায় তিনি কল ধরতে পারেননি। সকালে নিজে ফোন করলে শুনতে হয়, তাঁর জায়গায় ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে অন্য অভিনেত্রীকে। এই আচমকা পরিবর্তনে অবাক হলেও অনুশ্রী কোনও অভিযোগ বা রাগ করেননি। তাঁর কথায়, ফোন ধরতে না পারায় তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে দুঃখ হলেও তিনি পরিস্থিতিকে মেনে নিয়েছেন।

এখন অনুশ্রী নিজের সময় নিজের মতো করে কাটাচ্ছেন। গাছপালা যত্ন করা থেকে ভ্রমণ পরিকল্পনা সবকিছু নিয়েই ব্যস্ত তিনি। এছাড়া একটি ওয়েব সিরিজের কথাবার্তা চলছে তাঁর সঙ্গে, যদিও এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি কিছু। তাই দর্শকদের পর্দায় তাঁকে দেখা নাও যেতে পারে এখনই।

আরও পড়ুনঃ ‘অ্যাকশনেই বাঁচি আর কাট বললেই মা’রা যাই’, ‘এতদিন ইন্ডাস্ট্রিতে থেকে আমারই এই অবস্থা, ছেলেটা যে কি করবে…ও বোঝে না অভ্যন্তরীণ যে বিষয়গুলো আমি জানি!’ ছোটপর্দা ছেড়ে যাত্রার মঞ্চে, তবুও ইন্ডাস্ট্রির বাস্তবতায় ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় তুলিকা বসু!

তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত, ছোটপর্দা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেননি অনুশ্রী। তিনি আশা রাখছেন ২০২৬ সালে নতুন করে, নতুন চরিত্রে, আরও শক্তিশালীভাবে ফিরবেন অভিনয় জগতে। ভক্তরাও অপেক্ষায় রইলেন তাঁর প্রত্যাবর্তনের জন্য।