রান্নাঘরের রানী সুদীপার পুজোর ভোগে থাকে নিরামিষ পাঁঠার মাংস! রেসিপি বেশ অদ্ভুত
তাকে আমরা কম বেশি সবাই চিনি। তিনি বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সঞ্চালিকা। বলা যায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে সঞ্চালিকা হিসেবে এই বাংলায় তার জনপ্রিয়তাই সব থেকে বেশি। বুঝতেই পারছেন নিশ্চয়ই কার কথা বলছি। তিনি অভিনেত্রী, সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। সঞ্চালনার পাশাপাশি অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজের প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছেন তিনি। তবে সঞ্চালিকা হিসেবেই তিনি সব থেকে বেশি পরিচিত।
দীর্ঘদিন রান্নাঘর সঞ্চালনা করেছেন। রয়েছে নিজের রেস্তোরাঁও। খাওয়া-দাওয়া রান্না বান্নার বিষয়ে কিন্তু দারুণ জ্ঞান তার। আর এহেন অভিনেত্রীর বাড়িতেই আরাধনা করা হয়ে থাকে মাতৃ মূর্তির। পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী তিনি। বাংলাদেশের ঢাকায় ১৫০ বছরের বেশি পুরনো অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো। তবে বিগত নয় বছর যাবৎ কলকাতায় মায়ের আরাধনা করছেন তিনি।
চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয় চার দিন বহু তারকার আনাগোনা লেগে থাকে। এই বাড়ির পুজোর ভোগেও রয়েছে বৈচিত্র। অষ্টমীতে সন্ধি পুজোর পর থেকেই মাকে নিবেদন করা হয় আমিষ পদ। গঙ্গা পদ্মার ইলিশ থেকে কাজরী মাছের চচ্চড়ি সবকিছুই থাকে মায়ের ভোগে। আর এই ভোগেই নিবেদন করা হয় এক বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি নিরামিষ পাঁঠার মাংস।
সম্প্রতি সেই ভোগের মাংস রান্নার রেসিপি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে কচি পাঁঠার মাংসে হলুদ, নুন, সর্ষের তেল, দই দিয়ে ঘণ্টা খানেক মাখিয়ে রাখা হয়। এ বার কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে তার মধ্যে গোটা গরম মশলা, তেজপাতা, গোটা জিরে, ফোড়ন দেওয়া হয়। তার পর দিয়ে দেওয়া হয়, আদা বাটা, জিরে বাটা, শুকনো লঙ্কা বাটা, কাঁচা হলুদ বাটা। এরপর ভালো করে কষানো হয়।
মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে মাংস দিয়ে ভাল করে কষানো হয়। এই কষানোর সময়ে বেশ খানিকটা ঘি আর গোলমরিচ বাটা দিয়ে দেওয়া হয়। এরফর গরম জল দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে নেওয়া হয়। নামানোর আগে বেশ খানিকটা ঘি এবং গোবিন্দভোগ চাল বাটা দিয়ে দেওয়া হয়। হঠাৎ করে মাংসের মধ্যে গোবিন্দ ভোগ চাল বাটা কেন? সুদীপা চট্টোপাধ্যায় এই চাল বাটা দেওয়ার গুরুত্ব বুঝিয়ে জানিয়েছেন, ভোগের মাংসে যেহেতু পেঁয়াজ, রসুনের ব্যবহার করা হয় না, তাই মাংস থেকে গন্ধ দূর করার জন্য সুগন্ধি হিসাবে গোবিন্দভোগ চাল বাটা দেওয়া হয়। আর এর ফলে মাংসের ঝোলটাও বেশ ঘন হয়।