অন্যের মুখে খাবার তুলে দিতে নিজের পেটের দিকে খেয়াল নেই! জোম্যাটো কর্মীর তড়িঘড়ি খাওয়ার ভিডিও দেখে চোখের জলে ভাসল নেট দুনিয়া!

সোশ্যাল মিডিয়া এমন এক মাধ্যম যেখানে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা, বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি ভেসে ওঠে।‌ বাড়িতে বসে জিনিস পেতে আমাদের কিন্তু ভালোই লাগে। সে খাবার হোক বা জিনিসপত্র আজকাল বাড়ির সদর দরজা পর্যন্ত তা অনায়াসে পৌঁছে যায়। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের হাতে সেই খাবার তুলে দিতে বধ্যপরিকর তাঁরা। আর তাই যেভাবেই হোক নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করেই ভিড় রাস্তায় নিজেদের বাহন ছোটান ডেলিভারি কর্মীরা।

যাই হয়ে যাক না কেন পরিস্থিতির সঙ্গেই আপস করা যাবে না। যেকোনও পরিস্থিতিতেই তাঁদের ক্রেতাদের র দরজায় খাবার পৌঁছে দিতেই হবে।সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন সময় আমরা এই জেদ, ইচ্ছাশক্তিকে বলীয়ান মানুষদের জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার একাধিক ভিডিও দেখে থাকি। যা প্রায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

উল্লেখ্য, এর মধ্যে কিছুকিছু ভিডিও আমাদের ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে, অবাক করে, বিস্মিত করে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের সেরকমই এক ডেলিভারি বয়ের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর যা দেখে চোখে জল চলে এসেছে নেট জনতার। ক্রেতাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য জীবনের যে কোনও রকম বাজি রাখতে প্রস্তুত তাঁরা। আসলে দায়িত্বটাই তাঁদের কাছে সবকিছু। আর এই দায়িত্ব পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তাঁরা।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন IAS অফিসার অবনীশ সরন। সেখানে দেখা গিয়েছে, সময়ের অভাবে একজন ডেলিভারি বয়কে কী ভীষণ দ্রুততার সঙ্গে খাবার খাচ্ছে। অন্যের খাবার পৌঁছনোর তাগিদে নিজের খাবারের সঙ্গে অবহেলা করছে সে। কোনমতে মুখে খাবার মুখে ঢুকিয়ে নিচ্ছে সে।

একটি প্লাস্টিকের একটা প্যাকেট থেকে কিছু একটা খাবার দ্রুততার সঙ্গে মুখে পুরে নিচ্ছে সে। যাতে সময় বাঁচে। আর যথারীতি এই ভিডিওটি চোখে জল এনে দিয়েছে নেটিজেনদের। খেতে খেতে তিনি আবার চারিদিকে নজর রাখছেন। যদি, কেউ আবার দেখে ফেলে। ওই ভিডিওর ক্যাপশনে অবনীশ লেখেন, ‘প্রতিটা মরশুমে ওদেরও খেয়াল রাখুন।’

You cannot copy content of this page