‘আমি নিজে রবিবার সারারাত এম আর বাঙ্গুরে ছিলাম, আমাকে ফাঁসাচ্ছে পল্লবীর বাবা-মা!’, মুখ খুললেন সাগ্নিকের সেই বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকার

গত সকালে আমরা খবর পেয়েছিলাম যে টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে আত্মহত্যা করেছেন কিন্তু তারপরে আজ সারাদিনে যা হল তাতে বলা যায় যে সুশান্ত সিং রাজপুতের কাহিনী আবার ফিরে আসলো বাংলায়। একের পর এক মহিলাদের নাম উঠে আসা, পল্লবীর টাকা পয়সা তছনছ করা, সাগ্নির স্ত্রীকে পল্লবী ঠকানো, সব মিলিয়ে সারাদিন ধরে মানুষ পল্লবী সাগ্নিকের গল্প শুনে নাজেহাল।

আজ সকালে পুলিশ সাগ্নিক কে ছেড়ে দিয়েছিল কিন্তু বিকালেই পল্লবীর বাবা-মা সাগ্নিক এবং পল্লবীর সেই বান্ধবী যার সঙ্গে সাগ্নিকের বিশেষ সম্পর্ক ছিল সে ঐন্দ্রিলা সরকারের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। কিছুক্ষণ আগে মুখ খুলেছেন সেই ঐন্দ্রিলা সরকার। তার দাবি পল্লবীর বাবা-মা তাকে মিথ্যা ফাঁসাচ্ছেন।

তিনি জানিয়েছেন, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সারারাত তিনি এমআর বাঙুর হাসপাতালে ছিলেন। পল্লবী ও সাগ্নিক দুজনেই তাঁর খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু পল্লবীর উপস্থিতিতে তিনি মাত্র একবারই তাঁদের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন।পল্লবী সাগ্নিক ঐন্দ্রিলার এবং আরও দুই বন্ধুর একটা বিয়ে বাড়িতে নেমন্তন্ন ছিল কয়েক মাস আগে। সেখানে সাগ্নিকের শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ায় সবাই মিলে পল্লবীদের ফ্ল্যাটে চলে আসেন এবং ওই রাতটা থেকে যান। এর বাইরে আর কিছু তিনি জানেন না বলেই দাবি ঐন্দ্রিলার।

death
আবার অন্যদিকে পল্লবীর বাবা-মা নতুন দাবি তুলেছেন।পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ, ‘ পল্লবী সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছিলেন, কিন্তু সেই ঘরে সিলিং অবধি পৌঁছনোর মতো কোনও চেয়ার, টেবিল বা অন্যান্য সামগ্রী ছিল না। তবে নিজের গলায় নিজে ফাঁস দেওয়ার জন্য কি করে সিলিং অবধি পৌঁছলেন পল্লবী? তাঁকে মৃত্যুর পরে প্রথম দেখে তাঁর লিভ ইন পার্টনারই। মৃতদেহ নামানোর পর পল্লবীরই ফোন থেকে তাঁর মা-কে ফোন করেন সাগ্নিক। সেই ফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, পল্লবী অচৈতন্য হয়ে গিয়েছে।’ তাই সব মিলিয়ে আসল ঘটনা যে কী তা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।