“অসাড় লাগছে,হৃদয় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে” ! কেকে’র মৃত্যু সামলে উঠতে পারছেন না শ্রেয়া ঘোষাল

কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয়ে। জলজ্যান্ত মানুষকে জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত গান গেয়ে খাঁটি বিনোদন প্রদান করে গিয়েছেন অসংখ্য দর্শককে। মৃত্যুর আগের মুহূর্ত অবধি চুটিয়ে লাইভ কনসার্ট করলেন কল্লোলিনী কলকাতায়। কেকের গায়কীতে মুগ্ধ হাজার হাজার শ্রোতা ছুটে গিয়েছে তাঁর গান শুনবে, তাঁকে সামনে থেকে দেখবে বলে।

তারপর এক ঝটকায় সব শেষ। সন্ধ্যাবেলা যে জ্বলজ্যান্ত মানুষটি একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে গেলেন কলকাতায় থাকা নিজের অনুরাগীদের, সেই মানুষটি রাত্রিবেলায় আর নেই এই পৃথিবীতে। এমন সংবাদ প্রথমে মেনে নিতে পারেনি কেউই। আস্তে আস্তে জানা গেল জল্পনাই সত্যি। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন কেকে।

৯০ দশকে প্রেম, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, হারানো, বিচ্ছেদ- এই প্রতিটি অনুভূতির সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন কেকে। সেই সময়ে একের পর এক হিট গান, একের পর এক হিন্দি সিনেমায় প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কৃষ্ণকুমার। অধিকাংশের দাবি সেই যুগটাই শেষ হয়ে গেল কেকের মৃত্যুতে।

এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল নিজেও। রাত থেকেই গাওকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একের পর এক শোকবার্তা, স্বজন হারানোর আর্তনাদ উঠে আসছে। এবার শোক প্রকাশ করলেন সংগীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল।

গতকাল রাতেই বেশ কয়েকটি পোস্টে শোক জ্ঞাপন করেছেন শ্রেয়া ঘোষাল। তিনি প্রথম টুইটারে শোক বার্তা প্রদান করেন। লিখেছিলেন “এই খবরে আমি কিছুতেই মাথা ঠিক রাখতে পারছি না। অসাড় লাগছে। এটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন। হৃদয় টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে”।

দ্বিতীয় পোস্টে প্রয়াত গায়ক কেকের একটি ছবি পোস্ট করে শ্রেয়া লেখেন “আমার জীবনে দেখা সব থেকে নম্র-ভদ্র, খাঁটি মানুষের একজন। নিজের প্রিয় সন্তানকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত, বন্ধু এবং সহকর্মীদের জীবনে ভালবাসা দিতে পাঠিয়েছিলেন ঈশ্বর”। এই মুহূর্তে গায়কের পরিবার কোন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এটাই ভেবে উঠতে পারছেন না শ্রেয়া।