গতকাল কলকাতায় লাইভ কনসার্টের পর সেই রাতেই প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট বলিউড গায়ক কেকে। যারা অনুষ্ঠানে চাক্ষুষ দেখেছে ওই জলজ্যান্ত মানুষটিকে, তারা বিশ্বাস করতে পারছিল না ঠিক তিন ঘন্টা পর আর নেই সেই মানুষটিই। গোটা সংগীত জগত ভেঙে পড়েছে এই ৫৩ বছর বয়সী গায়কের অকাল প্রয়াণে।
৯০ দশকে একের পর এক হিট প্রেমের, ভালোবাসার গান দিয়ে গেছেন উপহার। হিন্দি রোমান্টিক গানের প্লেলিস্ট যেন অসম্পূর্ণ কেকে’কে ছাড়া। সেই কেকের নিজের প্রেমের জীবন কেমন ছিল?
শোনা যায় ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পেতে দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন নিজের আরেক ভালোবাসা অর্থাৎ সঙ্গীতচর্চাকে। কৈশরের প্রেমকে বিয়ে করতে নাছোড়বান্দা কেকে নিয়েছিলেন সেলসের চাকরি।যদিও সেটা খুব অল্পসময়ের জন্য করেছিলেন তিনি।
১৯৯১ সালে জ্যোতি লক্ষ্মী কৃষ্ণাকে বিয়ে করেছিলেন এই গায়ক। বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার অনেক আগে থেকেই কৈশোরে প্রেমে পড়েছিলেন জ্যোতির। কিন্তু ছোটবেলার প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য একটি বিশেষ শর্ত দিয়েছিলেন প্রেমিকার মা-বাবা। কী ছিল সেটা?
কেকে সেই মুহূর্তে বেকার। তাই শর্ত ছিল আগে চাকরি পেতেই হবে। তারপরই নিজের প্রেমিকাকে বিয়ে করতে গান গাওয়াটা ছেড়ে দিয়েছিলেন কেকে। উঠেপড়ে লেগেছিলেন চাকরির জন্যে। কিন্তু সেলসে চাকরি করেছিলেন মাত্র তিন মাস। তারপর আবার শুরু হয় গান নিয়ে চর্চা।
তারপরই শুরু হয় কেকের বলিউডে পথচলা। জ্যোতিকে বিয়ে করার ৮ বছরের মাথায় কেকের প্রথম মিউজিক অ্যালবাম পল্ রিলিজ করে। ২ দশক পেরিয়ে গেলেও এখনও সেই গানেই আটকে যায় হাজার শ্রোতার মন। আর এই গানেই কলকাতাকে শেষ বিদায় জানিয়েছিলেন গতকাল।