গানের রিয়েলিটি শো নিয়ে দর্শকদের মাতামাতি অনেক দিনের। সত্যি কথা বলতে জি চ্যানেলের সারেগামাপা সে হিন্দি হোক বা বাংলা আলাদা একটা উন্মাদনা সৃষ্টি করেছেন শ্রোতাদের মধ্যে।সোনি টিভির ইন্ডিয়ান আইডল একমাত্র সারেগামাপার সঙ্গে পাল্লা দেয় তা বাদে অন্যান্য অনেক চ্যানেলে একের পর এক গানের রিয়ালিটি শো আসছে কিন্তু কেউ জায়গা করতে পারছে না। তবে সারেগামাপা নিয়ে বিতর্কেরও অন্ত থাকে না।
গতবার বাংলা সারেগামাপা নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল যে ইমন চক্রবর্তী টাকা দিয়ে নিজের গ্রুপ এর প্রতিযোগী অর্ঘ্যদীপ কে জিতিয়ে দিয়েছেন। এবার আর কোনরকম রিস্ক নেয়নি কর্তৃপক্ষ।ইমন চক্রবর্তী রাঘব চ্যাটার্জীদের নিয়ে আসা হলেও কোন গ্রুপ তৈরি করা হয়নি। তবে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না সারেগামাপার।
গত সপ্তাহে আমরা দেখেছিলাম শেষ হয়েছে গ্র্যান্ড অডিশন এর পালা এবার আগামী শনিবার থেকে দেখা যাবে মূল পর্ব।তবে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী সবার শেষে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং বাকি সকলেই তাতে সহমত জানিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে যে সকল শিশু প্রতিযোগী নির্বাচিত হয়েছে তাদেরকে আলাদা ভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানোর কথা।তারা বাকি বয়সে বড় প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে না, তারা এমনি এই শোয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। অর্থাৎ তারা মাঝে মাঝে গান গাইবে কিন্তু তারা কোন প্রতিযোগিতার অংশ হবে না।
এটা শুনেই রেগে গেছেন নেটিজেনরা। তাদের বক্তব্য তাদের বাচ্চাগুলোকে গান গাওয়ানো হল কেন মঞ্চে?এটাতো স্বাভাবিক কথা যে একজন চার বছরের শিশুর সঙ্গে একজন চল্লিশ বছরের মানুষের গানের কোনো প্রতিযোগিতা হওয়া সম্ভব না তাহলে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল একদম শুরুতেই অডিশন না নেওয়া।শিশুরা ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে না খেয়ে অডিশন দেবে ,তারপরে তাদের মধ্যে থেকে কিছু জনকে বাছাই করা হবে আর তারপর সবার সম্মতিতে তারা মূল পর্বে অডিশন দিয়ে সিলেক্ট হবে আর শেষে গিয়ে তারা জানতে পারবে যে তারা প্রতিযোগিতাতে নেই! এটা কি ছেলে খেলা হচ্ছে?
সকলেই ভীষণ রেগে গিয়েছেন এবং বলছেন যে সারেগামাপা লিটল চ্যাম্প করে তো এদের নিয়ে আসা যেত।পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী যে কথাগুলো বলেছেন তাদের যুক্তি রয়েছে কিন্তু উনি তো তাহলে শুরুতেই একথাটা বলে দিতে পারতেন। শিশু প্রতিযোগী গান গাওয়ার পর তাদেরকে তিনি পা ছুঁয়ে প্রণাম করছেন তখন তিনি কিছু বলতে পারলেন না? এই জিনিসটা একদমই মানতে পারছেন না শ্রোতারা।