স্টার জলসায় এই মুহূর্তে গাঁটছড়া ধারাবাহিকে জমজমাট পর্ব। এমনিতেই ধারাবাহিক শুরুর দিক থেকে দর্শকদের মনে জনপ্রিয় স্থান দখল করে রয়েছে ঋদ্ধি এবং খড়ির কেমিস্ট্রি। তার উপর একের পর এক টুইস্ট। আর তার থেকেও আকর্ষণীয় করে বানানো হয় ধারাবাহিকের আগাম এপিসোডের প্রোমো।
এ ধারাবাহিকে মূল চরিত্রগুলির পাশাপাশি দুটি জনপ্রিয় চরিত্র হলো রাহুল এবং দ্যুতি। তারা নানা ছলে বলে কৌশলে চেষ্টা করে নিজের দাদা এবং দিদিকে সমস্যায় ফেলার। কিন্তু প্রতিবারই তারা ধরা পড়ে যায়। সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল ভট্টাচার্য বাড়ি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত দোষ এসে পড়েছিল রাহুল এবং তার স্ত্রী দ্যুতির উপর।
এবার ধারাবাহিকে এসেছে নতুন টুইস্ট। জানা গেছে ভট্টাচার্য বাড়ি বিক্রি ৬ কোটি টাকা রয়েছে সিংহ রায় বাড়িতে। এর রহস্য একমাত্র জানে প্রসূন। দেশে মাঝরাতে টাকা হাতিয়ে নিতে তৎপর হয়ে ওঠে। অবশেষে ধরা পড়ে যায় বনির হাতে।
ততক্ষণে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা জড়ো হয়ে যায়। সবাই জানতে পারে এ আলাদা কোন চোর নয়, এ হলো বাড়ির জামাই প্রসূন। ব্যাগ খুলতেই থরে থরে সাজানো টাকার বান্ডিল পাওয়া যায়। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে সে খড়ির পরিবারের দিকে আঙ্গুল তোলে। তারাই বাড়ি বিক্রি করে নাকি টাকা লুকিয়ে রেখেছে।
এদিকে আবার একবার বাড়ি জাল দলিল তৈরি করে ফেলে রাহুল। অন্যদিকে ছদ্মবেশে ঝুনঝুনওয়ালার অফিসে যায় ঋদ্ধি এবং খড়ি। অবশেষে তাদের জালে ধরা দেয় ঝুনঝুনওয়ালা। এবার এলো নতুন পর্ব। প্রসূন সমস্ত দোষ স্বীকার করে নেয়। প্রমাণ দেয়।
এরপরেই ভট্টাচার্য বাড়ি বিক্রি নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল সেই জট কাটিয়ে ফেলে রাহুল। রাহুলের উত্তর শুনে অবাক হয়ে যায় খড়ি এবং ঋদ্ধি। আর প্রসূন নিজেও হতভম্ব হয়ে যায়। তখনই সে নিজের সমস্ত দোষ স্বীকার করে নেয় সবার সামনে।
সেটাও স্বীকার করে, যে সে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিজের স্ত্রী এবং সন্তানের জন্য চুরি করেছে সে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। নরেন্দ্র জানিয়ে দেয় এই বাড়িতে থাকতে পারবে না সে।
অবশেষে বাড়ির আসল দলিল পাওয়া গেল। এদিকে নিজের ভাইকে ক্ষমা করে দেয় ঋদ্ধি। রাহুল, দ্যুতি আর পারমিতাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে হাজির হয় তাদের ঠিকানায়। সঙ্গে যায় খড়ি আর বনি। শেষমেশ সমস্ত অভিমান মিটে যায়। এবার দেখার পালা নতুন কোন দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে কি এই পরিবারের জন্য?