বড় পর্দায় যেন বেপাত্তা তিনি। কিছু ধারাবাহিকে কাজ আর তারপরেই হারিয়ে গেলেন। বাবার হাত ধরে উঠেছিলেন গ্ল্যামার দুনিয়ায়। এমনকি এককালে চুমকি চৌধুরী মানেই প্রথম শ্রেণীর নায়িকাদের একজন। আজ অধিকাংশ দর্শকের মনেই নেই তাঁকে।
পর্দার মেজ বউ বলতে মনে পড়ে চুমকি চৌধুরীকেই। অন্য ধারার সিনেমা তৈরি করেছিলেন তিনি। মানুষের মধ্যে হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল এই অভিনেত্রীকে নিয়ে উত্তেজনা। কিন্তু সবই তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেল। কেনো?
আসলে নায়িকার কেরিয়ারের জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি। তবু বাবা অঞ্জন চৌধুরীর মৃত্যুর পর থেকে নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নিয়েছিলেন এই রঙিন জগত থেকে।
তবে এবার একটা বড় সুখবর রয়েছে। প্রায় দুই দশক পর আবার বড় পর্দায় ফিরতে চলেছেন চুমকি চৌধুরী। বাবা তথা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর মৃত্যুর পর নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া সেই চুমকি চৌধুরী আবার স্বপ্রতিভায় উজ্জ্বল হয়ে উঠবেন।
জানা গেলো যে প্রায় ১৭ বছর পর কুলপি সিনেমার মধ্যে দিয়ে ফিরতে চলেছেন অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরী। তবে এবার আর কোন নায়িকা নয় বরং সম্পূর্ণ নতুন রূপে খলনায়িকা হয়ে ফিরবেন তিনি। এটা শুনে চমকে গেলেন তো?
নায়িকা নাকি প্রথম দিকে বিশেষভাবে রাজি ছিলেন না এই সিনেমার চরিত্রের জন্য। কারণ এটাই প্রথমবার যখন তিনি ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করবেন। এটা অভিনেত্রীর একেবারে ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিল। অন্যদিকে দর্শকরা এত বছর পর নায়িকা কে নতুন রূপে দেখে কিভাবে গ্রহণ করবে সেটাও একটা প্রশ্ন চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তবে পরিচালক বর্ষালি জড়াজড়ি করতে শেষমেশ সেটা করতে রাজি হয়েছিলেন চুমকি। আসলে নায়িকা বলেছেন তিনি কখনো চাননি এবং বাবা অঞ্জন চৌধুরীর কখনো চাননি যে বাবার সেট ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করুক মেয়ে। তাই বাবার সঙ্গে চিরকাল কাজ করে গিয়েছেন। বাবা চলে যাওয়ার পর কাজ করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে পারতেন না। একা কোন কাজ করতে পারতেন না আর সেই কারণেই কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন একপ্রকার।