মিঠাই ধারাবাহিকটি পুরোপুরি টিআরপি মেটেরিয়াল। এখানে হাসি মজা দুঃখ পারিবারিক দৃশ্য সবকিছু আছে তবে মাঝে মাঝে এমন কিছু জিনিস দেখানো হয় যা দেখে গা জ্বলে যায় দর্শকদের। বাস্তব ছাড়িয়ে ধারাবাহ িক এমন জায়গায় পৌঁছে যায় মাঝে মাঝে যে মানুষের ভালো লাগেনা। একই গল্প দীর্ঘদিন ধরে দেখানো হলে মানুষের বিরক্তি আসে।
ঠিক সেরকমই এবার একটা চরিত্র নিয়ে ভীষণ রেগে যাচ্ছেন দর্শকরা, সেটা হল বাড়ির ছোট মেয়ে নীপা। দিন দিন অসহ্য একটা চরিত্র হয়ে উঠছে সে। রুদ্রদার সঙ্গে ভালোবাসা তার ঠিক করে কিন্তু তৈরি হয়নি তার আগেই বিয়ের জন্য লাফালাফি করে একটা কান্ড ঘটিয়ে বিয়েটা করল।
রুদ্রদের ব্যানার্জি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ কিন্তু লোকের জীবনের ঝামেলা সলভ করার থেকে তাকে নীপার উৎপটাং কান্ডগুলো সামলাতে বেশি দেখা যায়। প্রথম কথা নীপার বয়স তো ১৮ পেরিয়ে গেছে এবং সে ধারাবাহিক কিন্তু মিঠাই এর থেকে বয়সে বড়।
গোটা জীবনটা ফিল্মি নয়, এটা তাকে এবার বোঝানো উচিত কারণ বেশি দিন ধরে তার এই ন্যাকামো সহ্য করা যাচ্ছে না। রুদ্র দা তাকে কেন ধমক দিচ্ছে না কফি বানানোর জন্য এরকম টক্সিক চিন্তাভাবনা তার নিশ্চয়ই সিনেমা দেখেই এসেছে। এটা এবার বন্ধ করা দরকার কারণ টক্সিসিটি প্রমোট করা হচ্ছে ধারাবাহিকে।
একটা তো কাজ করে না পড়াশোনাও করেনা সারাদিন রুদ্রদা রুদ্রদা করে ন্যাকামি করে। পোড়া রুটি তৈরি করেছে সে কিন্তু রুদ্রদা সেটা কেন সোনামুখ করে খাইনি, সেই নিয়ে সে নিজের বাপের বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করছে দাদা বৌদির কাছে।
এটা কি ঘুরিয়ে রুদ্রদার ইনসাল্ট করছে না সে? রুদ্র দা কে ভালবাসি বলবে কিন্তু রুদ্রদার দিকে কতটা খেয়াল রাখে নীপা? রুদ্রর কোন কাজটা নীপা করে দেয়?
তাই এবার কিছু দর্শক সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছেন যে যতদিন না আমি পারি ন্যাকামো বন্ধ হবে তারা মিঠাই দেখবেন না। নয়তো যখন নীপার দৃশ্য আসবে তারা দেখবেন না।
কারণ তার বয়স এমন কিছু ছোট নয় যে সে কিছু বুঝবে না। একটা টিন এজ ছেলে মেয়েও তাদের ভালোবাসার জন্য অনেক কিছু করে, কিন্তু নীপা রুদ্রদা’র জন্য করেটা কী?