কখনো কখনো কোন ধারাবাহিক মনের খুব কাছের হয়ে যায়। সেই ধারাবাহিকের চরিত্রগুলো একদম নিজের ঘরের মানুষ হয়ে যায় তাই যখন সেই চরিত্রগুলো মারা যায় এবং তারপরে ধারাবাহিক শেষ হয় তখন দর্শকদের মনে খুব আঘাত লাগে। এখন যেমন খড়কুটো ধারাবাহিকের ভক্তদের মনে প্রচন্ড আঘাত লেগেছে।
সাজির বিয়ের সময় গুনগুনের অসুস্থ হয়ে পড়া তারপরে সার্জারি এবং আজ গুনগুন শেষ শয্যায় শায়িত। গুনগুন মারা যাবে এটা কেউ ভাবতেই পারেননি। তারা সকলেই লেখিকা লীনা গাঙ্গুলীকে বারবার বলছেন গুনগুনকে মেরে ফেলে ধারাবাহিক শেষ করার কি খুব দরকার ছিল? সৌজন্য আর গুনগুন নিজেদের সন্তানকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে এরকমটাও তো দেখানো যেত।
আজকের হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে চোখে জল আসবে না এরকম খড়কুটো ভক্ত পাওয়া যাবে না। নিথর গুনগুনকে নিয়ে আসা হয়েছে মুখার্জি বাড়িতে। তাকে লাল কাপড়,ফুলের মালা দিয়ে সাজানো হয়েছে আর শেষ মুহূর্তে কপালে সিঁদুর ছুয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে সৌজন্য। হাউ হাউ করে কাঁদছে মুখার্জি পরিবারের সকলে আর দর্শকরা কাঁদছেন পর্দায় এই দৃশ্য দেখে।
এর আগে এক সংবাদ মাধ্যমকে তৃণা সাহা জানিয়ে ছিলেন যে খড়কুটোর শেষ দিন পর্যন্ত দেখা যাবে গুনগুনকে। শুটিং সেটে কারোর গ্লিসারিন দরকার পড়ছে না। এমনিই সকলে কেঁদে যাচ্ছেন।আসলে দু’বছর ধরে ধারাবাহিকের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছিলেন কলাকুশলীরা। এখন এইভাবে ধারাবাহিক শেষ হবে তারা নিজেরাও জানতেন না তাই গুনগুনকে বিদায় জানিয়েই শেষ হচ্ছে খড়কুটো।