আর সৌগুনকে দেখা যাবে না পর্দায়। দুই বছর আগের ‘খড়কুটো’র গল্প এখন ভেঙেচুরে গেলো। বাড়ির সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলো গুনগুন। তার অকাল মৃত্যু শ্বশুরবাড়ির কেউ যেমন মানতে পারছে না তেমনই গুম মেরে গেছে দর্শকরাও। একটা চঞ্চল মিষ্টি মেয়ের এই পরিণতি তারা ভাবেনি।
এদিকে শেষপাতে মিষ্টি দিয়ে শেষ হলো ধারাবাহিকের শুটিং। যারা সৌজন্য গুনগুনের লাভস্টোরি পছন্দ করেছে তাদের মুখে হাসি নেই। এর থেকেই স্পষ্ট কোনোভাবেই দর্শক লেখিকার এমন গল্প দেখতে চায়নি আর ভালোবাসেনি।
এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ঝড় শুরু হয়েছে। বহু মানুষ ধারাবাহিকের হ্যাপি এন্ডিং চেয়েছিল। বিশেষ করে সৌগুনের। কিন্তু তেমন তো হলোই না উল্টে মুখ্য নায়িকাকেই মেরে ফেললেন চিত্রনাট্যকার লীনা গাঙ্গুলী।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ধারাবাহিক দুই বছর আগে যে পরিমাণ টিআরপি পেত তারপর হঠাৎ করেই সেটা কমতে শুরু করে। আসলে যেভাবে রকেটের বেগে একের পর এক নতুন সিরিয়াল আসছে তাতে মানুষেরও নতুন আর পুরনো সিরিয়ালের নাম সময় সব মনে রাখতে হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা। এভাবেই টিআরপি কমা-বাড়ার খেলা চলে। কিন্তু গুনগুন আর সৌজন্য এই খেলা নিতে পারলো না। তাই এই পরিণতি হলো।
View this post on Instagram
এই নিয়ে এক সংবাদ মাধ্যম চিত্রনাট্যকার লীনা গাঙ্গুলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। লীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় না থাকলেও নিজের কাজ নিয়ে সবদিকেই নজর আছে। তিনি জানান যে পেন বা কলম কখনো গণতন্ত্রের উপর নির্ভর করে না। অর্থাৎ, মানুষ কি চাইলো বা চাইলো না তার উপর ভিত্তি করে গল্পের মোড় বা চরিত্রের পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। লেখক বা লেখিকা নিজের ভাবনা চিন্তা দিয়েই একটি চরিত্র সাজিয়ে তোলেন। তাই পুরো ব্যাপারটাই হলো লেখক বা লেখিকার মস্তিষ্কপ্রসূত বিষয়। তিনিও এভাবেই সাজিয়েছিলেন গল্প।
এদিকে আগামী বুধবার হয়তো শেষবারের সম্প্রচার হবে ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’। টালিগঞ্জের স্টুডিয়োতে শুটিংয়ের ফাঁকে তৃণা সাহার রিল আর দেখা যাবে না। তার উপর গল্পের এমন বিয়োগান্ত পরিণতিতে নিস্তব্ধ গোটা পরিবার। তবে গুনগুন কিন্তু থেকে যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত কারণ সে স্রোতস্বিনী মুখার্জি হয়ে ফিরে আসছে।সৌজন্য আর গুনগুন এর ছেলে ঈশানের বৌ হিসাবেই আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে তৃণা সাহা কে। চমক দেখতে রেডি থাকুন।