বহুত ধুমধাম করে ধারাবাহিক শুরু হয়েছিল জি বাংলা আর একদম অন্য ঘরানার ধারাবাহিক ছিল তাই সকলেই আশা করেছিল যে দুর্দান্ত ফলাফল করবে লালকুঠি কিন্তু এখনো পর্যন্ত একবারও অনুরাগের ছোঁয়াকে হারাতে পারেনি রাহুল রুকমা জুটি। তবে গল্পে এবার আসতে চলেছে বড়সড় টুইস্ট।
কিছুদিন আগেই লালকুঠির এক ভক্ত ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লালকুঠির নতুন গল্পের যেটা নতুন প্রোমোর সঙ্গে প্রায় মিলে যাচ্ছে। তিনি কী লিখেছিলেন একটু জানা যাক।
১২ বছর আগে সেই দিন লালকুঠিতে মিনিস্টার,তার বন্ধু, বিক্রমের বাবা এবং মামা আগুন লাগিয়ে দেয়। দুজন পুড়ে মারা যায় এবং তারা খুব সম্ভবত মহুয়ার বাবা-মা ছিল সেই জন্যেই মহুয়া নিজের বাপের বাড়ির সম্বন্ধে কিছু বলতে চায় না।
যিনি কোনোভাবে আগুনের হাত থেকে বেঁচে যায় এবং ওর বাবা-মাকেও বাঁচিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ওর হাত এবং মুখ এতে পুড়ে যায়। যে কারণে যিনি লন্ডনে গিয়ে কসমেটিক সার্জারি করে এবং ফিরে আসে অনামিকা রূপে।
এখন একদম বিপরীত সাজে সেজে এসে জিনি প্রতিশোধ নিছে এসেছে এবং সার্জারীর কারণে তার মুখ পুরো বদলে গেছে সেই জন্যই তাকে কেউ চিনতে পারেনি তার বাবা মা ছাড়া। তাকে যাতে লালকুঠিতে কেউ বুঝতে না পারে সেই জন্য সে এতদিন ধরে পুরো অভিনয় করে গেছে এবং যিনি যেগুলো ভালোবাসতো তার উল্টো কাজকর্মগুলো করে গেছে যেমন ঝাল খাওয়া, মেকআপ করে নারী সাজে থাকা।
যাতে ব্যাপারটা আরো কনভিন্সিং হয় সেজন্য সে জিনির প্রতি জেলাসি দেখাতে শুরু করে বিক্রমের সামনে।তবে আরেকটা কে জিনি যে ঘুরে বেড়ায় সেটাও খোঁজার চেষ্টা করে গেছে সমানে কারণ সে মনে মনে তো জানে যে জিনিটা আসলে কে।
আর যদি হঠাৎ করে সে ধরা পড়ে যায়তাহলে সে সোজা বলে দেবে বিক্রমের কবিতার বই আর ডায়েরি পড়ে সে জিনির ব্যাপারে এত জেনেছে। বৈশালী জিনির দিদি আর সেই জন্যেই সবার প্রথমে লালকুঠিতে এসে অনামিকা কিন্তু বৈশালীর দিকে এগিয়ে গেছে। সুলেখা আন্টি আর মাইমা মিলে বৈশালীকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
আর প্রোমোতে দেখা গেছে যে বিক্রম জেনে গেছে জিনি বেঁচে আছে। মহুয়া রূপাল ী আর অনামিকার মধ্যে একজন যিনি এই কথা তো প্রমো দেখে স্পষ্ট। তবে অনামিকা যেভাবে ভয় পেয়ে গেল রাহুলের কথা শুনে তাই মনে হচ্ছে এই ভক্ত যে কথাগুলো লিখেছেন সেগুলোই সঠিক। তাই অনামিকা আসলে জিনি হলে তখন সে সবার সামনে সব সত্যি নিয়ে আসবে আর মনে হয় ধারাবাহিক ওখানেই শেষ হবে।