রুজি রোজগারের টানে বাইকে করে বাদাম বিক্রি করতেন ভুবন বাদ্যকর। বাদাম বিক্রির সময় নিজের লেখা, সুর দেওয়া গান গাইতেন তিনি। সেই গান যে হঠাৎ এতটা জনপ্রিয়তা পেয়ে যাবে তা হয়তো তিনি নিজেও অনুমান করতে পারেননি।
একেবারে মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বহু মানুষের কাছে পৌঁছে যায় তার ‘বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম’ গানটি। তবে এই গান জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে একদিকে যেমন তিনি হয়ে ওঠেন সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যতম পরিচিত মুখ, অন্যদিকে ঠিক একইভাবে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। অভিযোগ তাঁর জনপ্রিয়তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তাঁর পেশার ওপর। কমতে থাকে বাদাম বিক্রি। তাকে ঘিরে উন্মাদনা এতটাই বারে যে প্রতিবেশী দেশের ইউটিউবার সহ এদেশের বহু ইউটিউবার তাঁকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন। দুই হাতে টাকা উপার্জন করেন তাঁরা। অথচ এতে বিন্দুমাত্র লাভ হয়নি ভুবন বাদ্যকরের। এক সময় বাধ্য হয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন তিনি। তাতে কিছুটা উৎপাত কমে। পাশাপাশি স্যান্ডি সাহা, মদন মিত্রের দৌলতে তুঙ্গে ওঠে তাঁর জনপ্রিয়তা।
তবে এবারে সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে অন্য রূপে আবির্ভূত হলেন ভুবন বাদ্যকর। নিয়ন আলোয় স্বল্পবসনা সুন্দরীদের সাথে স্ক্রিন শেয়ার করলেন ভুবন বাদ্যকর। পাল্টেছে তার গানের ধরন। চোখে সানগ্লাস এঁটে ‘কাঁচা বাদাম’-এর র্যাপের তালে তাল মিলিয়ে দিব্যি নাচলেন তিনি।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই ট্রোলের শিকার হলেন ভুবন বাদ্যকর। কেউ কটাক্ষ ছুঁড়লেন টিকটকারদের উদ্দেশ্যে। লিখলেন-‘টিকটকাররা প্রয়োজনে দেহও দিতে রাজি ভুবনদারে।’ আবার কেউ বা মাথার তিলকের অপমান করছেন বলে সেটি মুছে নিতে বলে সরাসরি আক্রমণ করলেন ভুবন বাদ্যকরকে। রানু মন্ডলের সাথে হয়েছে তাঁর তুলনা।এসবের মাঝেই অনেকের আবার ধারণা সোজাসাপ্টা সহজ সরল একজন মানুষকে এভাবে ব্যবহার না করাটাই শ্রেয়।