বাঙালির এখন মনে প্রানে পুজোর আমেজ। সম্প্রতি ইউনেস্কো কলকাতা দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে এ বছর পুজো আসল পুজো শুরু হওয়ার এক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে গেলো। তাই সেই আমেজে বাঙ্গালীদের মনে এখন দেদার ফুর্তি।
মূলত মহালয়ার দিন থেকে মাতৃপক্ষ শুরু হয়ে যায় এবং সেইদিন থেকে ধরে নেওয়া হয় আনুষ্ঠানিকভাবে পুজো শুরু হয়ে গেল। আর কিছুদিন পরেই মহালয়া। এই পূণ্য তিথিতে বাংলা টেলিভিশন পিছিয়ে থাকে নাকি? তাইতো বিভিন্ন বাংলা চ্যানেলগুলোতে একের পর এক নতুন নতুন অনুষ্ঠান হতে থাকে প্রতি বছর।
ইতিমধ্যেই তার আভাস দিতে শুরু করেছে বাংলা চ্যানেলগুলি। এ বছর মহালয়া উপলক্ষে কোন চ্যানেলে কি অনুষ্ঠান হতে চলেছে তার আগাম ঝলক পেয়ে গেছে বাঙালিরা। জি বাংলা এবার একেবারে নতুন সাজে আনতে চলেছে সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী।
এবার জি বাংলার দর্শকরা দুর্গা হিসাবে পেতে চলেছে টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীকে। এই খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল সম্প্রতি সামনে এলো অনুষ্ঠানের কিছু টুকরো অংশ। একে বলা হয় বিহাইন্ড দা ক্যামেরা। তেমনি একটি ভিডিও এই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
ভিডিও দেখে অভিনেত্রীকে বহুদিন বাদে পর্দায় নতুনভাবে পাওয়ার আনন্দ থেকেও বেশি ক্ষোভ দেখা দিলো। নেট দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ খুশি নয় চ্যানেলের এই সিদ্ধান্তে, এমনটাই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে তারা কমেন্ট বক্সে। বহু মানুষ দাবি তুলেছে শুভশ্রীর জায়গায় বিভিন্ন ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রগুলিকে স্থান দেওয়া যেত।
পাশাপাশি উঠে এসেছে বেশ কিছু ধরনের কটাক্ষ। অনেকেই বলছে একবারে বুড়ি লাগছে দুর্গাকে। আবার কেউ কেউ বলছে ভিডিও দেখে যে এটা মহালয়া নাকি যাত্রাপালা বোঝা যাচ্ছে না। গয়নার উপর বেশি আলোকপাত করা হয়েছে কেন এই প্রশ্ন তুলেছে অনেকে।
আসলে যেভাবে গ্রাফিক্স বসানোর আগে গোটা দৃশ্যগুলির শুটিং করা হয়েছে তা নিয়ে হাসির ঝড় উঠেছে। পাশাপাশি দুর্গা এবং মহিষাসুরের মধ্যে লড়াইয়ের দৃশ্য দেখে হাসি থামাতে পারছে না দর্শকরা।
তবে এর মাঝেও বহু মানুষ প্রশংসায় শামিল হয়েছে অভিনেত্রীর জন্য। অভিনেত্রীকে একেবারে নতুনভাবে এখানে পাওয়া যাবে এতেই তারা খুশি। তাই তারা অপেক্ষায় রয়েছে অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য।