আর মাত্র দু-তিন দিনের অপেক্ষা তারপরে স্টার জলসার পর্দায় রাত দশটা থেকে আসবে নতুন ধারাবাহিক হরগৌরী পাইস হোটেল। গল্পটা অনেকটা তোমায় আমায় মিলের মতোই কিন্তু রয়েছে অনেক পরিবর্তন। ধারাবাহিক মুক্তির আগে ডাকা হয়েছিল কনফারেন্স এবং সেখানে আমন্ত্রিত ছিল টলি গসিপ টিম।
শুটিং সেটেই করা হয়েছিল প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন তাই সকলেই দেখে নেয় যে হরগৌরী পাইস হোটেল কীরকম। কোন স্টুডিওতে শুটিং হয়েছে সেটা এখন আমরা গোপন রাখলাম তবে এটুকু বলা যাচ্ছে যে শুটিং সেট দেখে ধারাবাহিকটা দুর্ধর্ষ হতে চলেছে। বহুদিন পর আবার প্রযোজনায় ফিরছেন যীশু সেনগুপ্ত এবং নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। ধারাবাহিকের কলাকুশলীদের সঙ্গে তারাও গতকাল এসেছিলেন এবং সেখান থেকে জানা গেল অনেক মজাদার তথ্য।
একজন সাংবাদিক যেমন প্রশ্ন করে বসেন যে হঠাৎ অভিনয় ছেড়ে প্রোডাকশনে কেন তখন যীশু সেনগুপ্ত বলে দেন যে আমার অনেক টাকা হয়ে গেছিল তো, কোথায় ওড়াবো বুঝতে পারছিলাম না। যদিও এটা মজা করে তবে যীশু নিজেই জানেন যে তার প্রোডাকশনে আসার যথেষ্ট ইচ্ছা ছিল কারণ এটা একটা অন্যরকম চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে নবাগতা শুভস্মিতা মুখার্জিকে ভীষণ সুন্দর লাগছিল সামনে থেকে।
আর খুকুমণি হোম ডেলিভারিতে বিহান হিসেবে আমরা রাহুল মজুমদারকে একরকম দেখেছি আর এখানে শংকর হিসেবে তাকে অন্যরকম ভাবে দেখব। তাকে যখন পুরনো সিরিয়াল নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো যারা নিজে তার খারাপ লেগেছিল কিন্তু যদি স্লট ধরে রাখতে না পারে তাহলে চ্যানেল তো বন্ধ করে দেবে। এতে কারোরই কোন হাত থাকে না। তিনি নিজেই জানালেন যে প্রত্যেকটা কাজ শুরুর আগে তার যথেষ্ট টেনশন হয় এখনো। এই কাজটাও তিনি ভালোবেসেই করেছেন।
অন্যদিকে শুভস্মিতা মিষ্টি হাসি দিয়ে জানালেন যে তিনি কোনদিনও এরকম ভাবে ভাবেননি যে সিরিয়ালে অভিনয় করবেন। ছোটবেলায় যখন কাভি খুশি কাভি গাম দেখেছিলেন তখন মনে হয়েছিল করিনার পুয়ের মতো হবেন।কিন্তু কখনো এরকম ভাবে ভাবেননি নিজে যে তিনি সিরিয়ালই করবেন তবে তার স্বপ্নটা সত্যি হয়ে গেছে।প্রথম ধারাবাহীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা যথেষ্ট ভালো এবং শুটিং সেটে সকলেই তাকে খুব সাহায্য করছে। তিনি একদম নতুন তাই তার অনেক কিছু শেখার বাকি আছে এবং ধীরে ধীরে তিনি শিখছেন। তবে তিনি নবাগতা বলে টেনশন করে কাজ করতে চান না তাহলে তার পারফরমেন্সে প্রভাব পড়তে পারে।
বালিগঞ্জের আধুনিক আর কালীঘাটের গলির সাবেকি শঙ্কর। দু’জনের জগত সম্পূর্ণ আলাদা। ঐশানী পড়াশোনা কেই ধ্যান জ্ঞান মেনে এসেছে অন্যদিকে শংকর নিজের হর-গৌরী পাইস হোটেল নিয়েই ব্যস্ত। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে ঐশানী শঙ্করের বউ হয় আর তারপরে তাকে শ্বশুরবাড়িতে বিভিন্ন ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় ভিন্ন চিন্তা ধারার মানুষ বলে। নিজের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন কি পুরোপুরি বিসর্জন দেবে ঐশানী নাকি শংকর তাকে সাহায্য করবে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে? কীভাবে শ্বশুরবাড়ির পুরনো চিন্তাধারা পাল্টাবে আধুনিক চিন্তাভাবনা সম্পন্ন ঐশানী? এটা নিয়েই গল্প এগোবে।তাই দেখতে থাকুন আগামী সোমবার থেকে প্রতি সোম থেকে শুক্র রাত দশটায় হরগৌরী পাইস হোটেল।