যখন আমাদের খুব কাছের কেউ হঠাৎ করে চলে যায় তখন যে কষ্টটা বুকে বাজে সেটা কারোর সঙ্গে তুলনা হয় না। আজ থেকে চার মাস আগে টলি করার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে আত্মহত্যা করেছিলেন। এখন আর এই বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলেন না।
তবে সেই সময় প্রচুর জলঘোলা হয়েছিল। প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুতে ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন অভিনেত্রী প্রত্যুষা পাল। জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় এসেছিলেন, তারপরে অভিনয় জীবন শুরু। সবথেকে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মা লক্ষ্মীর ভূমিকায় অভিনয় করে কিন্তু এখন এই মুহূর্তে ছোট পর্দায় তাকে আমরা দেখতে পাচ্ছি না।তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে উপস্থিতি আমরা দেখতে পাই। বিজ্ঞাপনের কাজ করছেন এখন, হয়তো খুব শীঘ্রই তাকে আমরা ছোট পর্দায় দেখতে পাবো।তবে ইউটিউবে ভ্লগিং তিনি করে থাকেন এবং সেখানেও তার ভালোই সাবস্ক্রাইবার আছে।
View this post on Instagram
আজ কিছুক্ষণ আগে জানা গেল নিজের সব থেকে কাছের একজনকে হারিয়েছেন প্রত্যুষা। তাকে হারিয়ে অসম্ভব কষ্ট পাচ্ছেন নায়িকা। নিজের হাতে তাকে কবর দিয়ে এসেছেন। তাকে ছাড়া বাড়ি ফেরাটা তার কাছে খুব কষ্টকর হবে সেটাও তিনি লিখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এতক্ষণে বোধহয় সকলের বুঝতে পেরেছেন কার কথা বলা হচ্ছে। যারা প্রত্যুষা কে নিয়মিত ফলো করে থাকেন এবং তার ভ্লগ দেখেন এরা জানেন যে প্রত্যুষার একটি মিষ্টি সুন্দর পোষ্য ছিল যার নাম কিটো। এটি একটি অ্যালসেশিয়ান। প্রত্যুষা গতকালই স্টোরি পোস্ট করেছিলেন ভেটেরিনারি ডক্টর চেয়ে কারণ খুব জরুরী ভিত্তিতে দরকার ছিল তার আর তখনই তার ভক্তরা বুঝেছিলেন যে কিটোর শরীর খারাপ হয়েছে।
View this post on Instagram
যারা পোষ্যদের বাবা-মা তাদের কাছে চারপেয়েরাই দুনিয়া। সাধারণ মানুষ তাদের বুঝবে না। আপনি নিজে কোন বাড়িতে কিছু পুষবেন ততদিন আপনি সেই মায়ায় জড়াতে পারবেন না। কিটোর বয়স হয়েছিল ১৪ বছর, তাই মূলত বয়সের কারণেই আর ধাক্কা সামলাতে পারেনি। দিদিকে ছেড়ে আকাশের তারা হয়ে গেছে ছোট্ট কিটো।
View this post on Instagram
প্রত্যুষা জানিয়েছেন, ব্যালকনিতে তার জন্য অপেক্ষা করত কিটো, আর এখন ব্যালকনিতে কেউ তার জন্য অপেক্ষা করবে না তাই বাড়ি ফেরাটা তার জন্য খুব কষ্টের হবে। তাদের পরিবারটা আর সম্পূর্ণ থাকল না। কিটো যেখানেই আছে ভালো থাকুক।