বাংলা সিরিয়ালের আবির্ভাব ঘটেছে আজ থেকে বড়জ োর কুড়ি বছর আগে। দূরদর্শনে হতো জন্মভূমি ধারাবাহিক সেটাই তখন সকলে মিলে দেখত। তারপরে জননী ধারাবাহিকে সুপ্রিয়া দেবীর অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করেছিল। এরপরে ধীরে ধীরে বেসরকারি চ্যানেল আসে এবং বাংলা সিরিয়ালের রমরমা শুরু হয় এবং এখনতো সিরিয়াল ছাড়া বাঙালি জীবন যাপন ভাবাই যায় না।
তবে আশির দশকে মানুষের বিনোদন বলতে ছিল থিয়েটারে গিয়ে নাটক আর থিয়েটার দেখা। তখন থিয়েটার এবং নাট্য ব্যক্তিত্বদের আলাদাই সম্মান ছিল।তবে সত্যি বলতে কি এখনো বাংলা সিরিয়ালে কিন্তু সেই সব অভিনেতা অভিনেত্রীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয় যারা থিয়েটার থেকে এসেছে কারণ থিয়েটার যারা শেখেন তারা অভিনয়টা পারেন এটাই আমরা জানি।
বাংলার বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন শাঁওলী মিত্র শম্ভু মিত্র রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত দেবশঙ্কর হালদার সোহিনী সেনগুপ্ত গৌতম হালদার। বর্তমানে এই সকল থিয়েটার ব্যক্তিত্বদের আমরা কিন্তু সিরিয়ালে অভিনয় করতে দেখছি এবং সিরিয়াল গুলোতে তাদের অভিনয় করতে দেখে অনেকেরই খারাপ লাগে বিশেষ করে যারা বয়স্ক মানুষ এবং এই অভিনেতা অভিনেত্রীদের তারা থিয়েটার মঞ্চে দেখেছেন।
সোহিনী সেনগুপ্তকে আমরা যেরকম খড়কুটো আবার তারপরে গুড্ডিতে অভিনয় করতে দেখছি। দেবশঙ্কর হালদার আবার এখন যেমন লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টারে রয়েছেন। তবে একজনকে কিন্তু আমরা কেউ চিনতেই পারিনি। তাকে আমরা মহাপীঠ তারাপীঠে দেখেছি। এখন আবার আরেকটা ধর্মীয় মাহাত্ম্যযুক্ত সিরিয়ালে দেখছি।
View this post on Instagram
তিনি হলেন গৌতম হালদার। ১৯৮৬ সাল থেকে তিনি নাট্য পরিচালনা এবং থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত।সেই গৌতম হালদারকে এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি গৌরী এলো ধারাবাহিকের ধূর্জটি বাবার চরিত্রে। একদম খলনায়ক চরিত্র এবং তার কথাবার্তা বলার অঙ্গভঙ্গি মানুষের গা জ্বালিয়ে দেয়।
View this post on Instagram
তাকে মেকআপে দেখে চিনতেই পারেননি কেউ।বর্তমান প্রজন্মের তাকে চেনার কথা নয় কিন্তু যারা একটু বয়স্ক এবং ধারাবাহিক দেখেন তারাও বুঝতে পারেননি যে উনি গৌতম হালদার। তাহলে এবার বুঝতে পারছেন তো ধূর্জটি বাবা চরিত্রটি কেন এত ভালো অভিনয় করছেন। তবে অনেকেই আফসোস করছেন কারণ গৌতম হালদারকে গৌরী এলো ধারাবাহিকে দেখতে হবে এটা যেন ভাবাই যাচ্ছে না।