বাংলা টেলিভিশনের একজন পরিচিত মুখ মেঘা দাঁ। দর্শক “পিলু” ধারাবাহিকে পিলুর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছে তাকে। “ডান্স বাংলা ডান্স” থেকে মেঘা টেলিভিশনে পা দিলেও তাকে মানুষ চিনেছে “পিলু” ধারাবাহিকের মাধ্যমে। “ডান্স বাংলা ডান্স সিজন ১১”র ফাইনালিস্ট ছিলেন মেগা। রিয়ালিটি শো শেষ হওয়ার পরেই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রের অভিনয়ের জন্য ডাক আসে তার।
এই ধারাবাহিকটি জি বাংলায় সন্ধ্যে সাড়ে ছটা থেকে সম্প্রচারিত হয়। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছে বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা গৌরব রায়চৌধুরী এবং মেঘা দাঁ। মেঘাকে এর আগে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সেভাবে কথা বলতে দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি তিনি একটি পরিচিত সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয় জগতে আশার গল্প এবং জীবনে বিশেষ মানুষ নিয়ে কথা বললেন।
প্রসঙ্গত উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরের মেয়ে মেঘা। ‘মছলন্দপুর ভূদেব স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়’এ পড়াশোনা করেছেন তিনি। বর্তমানে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে কত্থক অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
View this post on Instagram
মেঘাকে এদিন গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের চাকচিক্য এবং বিপথে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মেঘা বলেন, “বরাবরই নিজের জন্য একটা গণ্ডি তৈরি করে রেখেছি। যে গণ্ডি আমি নিজে যেচে কোনও দিন পার করব না। মা-বাবা ছোট থেকে যে শিক্ষা দিয়েছেন, আমি জানি, যদি সৎ থাকি তা হলে রাস্তা ঠিক খুঁজে পাব। বিপথে কোনও দিন যাব না । বড় পরিচালক, বড় চরিত্রের লোভে কখনও অন্য কিছুর বিনিময়ে আপস করব না।”
অভিনেত্রী জীবনে কোন বিশেষ মানুষ আছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে অভিনেত্রী একবার এই উত্তর, “না, এখন কাজে মন দিতে চাই।” অভিনেত্রী তার অভিনয় জীবনে আশা নিয়ে বলেন, “ছোট থেকেই নাচ, গান আমার বড় প্রিয়। ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ চলাকালীন অনেকেই বলেছিলেন, আমার মধ্যে অভিনেত্রী-সুলভ ব্যাপার আছে। বলেছিলেন, এক বার চেষ্টা করে দেখতে অসুবিধা কোথায়? তবে জানতাম, রাস্তাটা বড় কঠিন। তাই নাচ নিয়েই থাকতে চেয়েছিলাম। মা-বাবাও খুব বোঝায়। তাই তখন মনে হল, এক বার চেষ্টা করে দেখি। তার পর যা হবে, দেখা যাবে। খেয়ালি ঘোষ দস্তিদারের কাছে ওয়ার্কশপও করেছি।”
View this post on Instagram