আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে গেল পুজো। দেবিপক্ষে সূচনার মধ্যে দিয়ে আর সাত দিনের অপেক্ষা শুরু হয়ে গেল। কারণ ঠিক তার পরেই ঢাকে পড়বে কাঠি, কাসর ঘণ্টা বেজে উঠবে পাড়ায় পাড়ায়। আর ধুনুচি নাচে মেতে উঠবে পাড়ার মেয়েরা।
তারকা হোক কিংবা সাধারণ মানুষ পুজোর সময় প্রত্যেকের মনে আলাদা প্রত্যাশা থাকে কটা দিনকে কেন্দ্র করে। কেউ আসে মায়ের বাড়ি, আবার কেউ এই সময় টইটই করে ঘুরে বেড়ায় গোটা শহর। সেই সঙ্গে বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা আর খাওয়া-দাওয়া চলতেই থাকে। কারুর কারুর বাড়িতে রান্না হয় আর তার পাশাপাশি কেউ কেউ আবার এই কটা দিন রান্নাঘরেও ঢোকে না।
View this post on Instagram
এই সময় পুজোটা কেমন করে কাটান জনপ্রিয় অভিনেত্রী উষসী রায়? তারকাদের বসে থাকার সময় নেই। অনেকেই এই সময়টায় জমিয়ে কাজ করে যান। এই কটা দিন একেবারে চার-পাঁচটা সাধারন বাঙালির মতো পুজো দেখার আনন্দ থাকে তাঁর মন জুড়ে। সেই সঙ্গে থাকে অফুরন্ত সাজগোজ। ষষ্ঠী থেকে নবনী এবং দশমী সব কটা দিন তিনি শাড়িতেই সব থেকে বেশি স্বচ্ছন্দ। একেক রকম সাজ একেক রকম শাড়িতে। তার সঙ্গে মানানসই গয়না এবং চুলের স্টাইল।
View this post on Instagram
ড্রেস কুর্তি সালোয়ার এইসব এখন পুরনো। ফিউশনের যুগ হলেও এই সময়টা শাড়ি পরতে সবথেকে বেশি ভালোবাসেন উষসী। সারাদিন ঘুরে বেড়ানোর জন্য হালকা মেকাপ করতে ভালোবাসেন। আর গরমে চুল খোলা রাখার কোন প্রশ্নই নেই তাঁর কাছে। নিউ আলিপুরের মেয়ে উষসী ছোট থেকে কলকাতার দুর্গাপুজো দেখে অভ্যস্ত। সেই উত্তেজনা এখনো কম হয়নি। ছোট থেকে বড় যে কোন দোকানে ভিড় দেখলেই মনের মধ্যে একটা আলাদা শিহরণ জেগে যায়।
View this post on Instagram
পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পুজোর প্রেম এবং পুজোর খাওয়া দাওয়া। না সেই অর্থে প্রেম হয়নি পুজোর সময়। ষষ্ঠীতে প্রেম শুরু আর দশমীতে মায়ের বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রেম শেষ এমন প্রেম করতে পারেননি অভিনেত্রী উষসী রায়। তাই বিশেষ মানুষের কাছ থেকে শাড়ি পাওয়া হয়ে ওঠেনি নায়িকার। এখানে অনেকে বিশেষ মানুষ বলতে ভাববেন রঙ্গোলির কর্ণধার নিখিল জৈনকে। সে ব্যাপারে আমরা কিছু জানিনা।পুজোর আগেই যে যার নিজের পথে হাঁটা লাগিয়েছে। তবে বড়দিনে উপহার পেয়েছেন তিনি। কিন্তু অষ্টমীর প্রেমটা চেষ্টা করেও জমিয়ে তুলতে পারেননি অভিনেত্রী।
View this post on Instagram
আর সবশেষে আসে পুজোর খাওয়া-দাওয়া। আর পাঁচজন সাধারণ বাঙালির মত এই সময় তিনি সমস্ত রকম ডায়েট ভুলে খাওয়া দাওয়ায় মেতে ওঠেন। কব্জি ডুবিয়ে খেতে ভালোবাসেন তিনি।