গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে এসকে মুভিজের কুঁদঘাটের যন্ত্রপাতি রাখার গোডাউন। ভোরবেলা অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘটনাস্থল থেকে অসংখ্য ছবি ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাংলা বিনোদনের সিনেমা, সিরিয়াল, ওয়েব সিরিজ তৈরিতে ক্যামেরা, লাইট, মেকআপ ভ্যান, জেনারেটর সব সরবরাহ করতো এই এসকে। ফলে এটা গোটা বিনোদন দুনিয়ার ক্ষেত্রে যে কত বড় ক্ষতি সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
শুধু তাই নয় এটার প্রভাব সরাসরি করে বেশ কিছু সিরিয়ালের ক্ষেত্রে কারণ তার শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। সিরিয়ালের শুটিং এর ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের বড় অংশ ধার নিয়ে চালাতে হচ্ছে বলে ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে জানা গিয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনা যে ইন্ডাস্ট্রির বুকে কত বড় ধাক্কা মুম্বাই থেকে খোলাখুলি জানালেন টেন্ট প্রযোজনা সংস্থার মুখ্য সুশান্ত দাস।
সুশান্ত দাসের প্রযোজনায় কে আপন কে পর, কৃষ্ণকলির মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নির্মাণ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে লক্ষ্মী কাকিমা, আলতা ফড়িং এর মত জনপ্রিয় ধারাবাহিক চলছে। সব যন্ত্রপাতি দিত এসকে। শুধু তাই নয়, যতগুলি সিরিয়াল চলছে তার ৮০ শতাংশের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ এই সরবরাহ করত এই সংস্থা। ঘটনা ঘটার ফলে বেশ কিছু জায়গায় শুটিং বন্ধ হয়ে গেছিল।
তিনি জানিয়েছেন গতকাল অনেক কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকগুলো সিরিয়াল চলছে। কিন্তু এখন ধার করে চালাতে হচ্ছে কারণ শো মাস্ট গো অন। লক্ষ্মী কাকিমা, আলতা ফড়িং এর জন্য ক্যামেরা জোগাড় করা গেছে। এই বিপদের সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তারাই যাদের কাছে দু একটা বাড়তি ক্যামেরা ছিল। অন্যান্য প্রযোজনা সংস্থা যাদের নিজস্ব ক্যামেরাও যন্ত্রপাতি রয়েছে তারা বন্ধুদের সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ তিনি নাম বললেন নিসপাল সিংয়ের। যেখান থেকে যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। কিন্তু তখন তাদের নিজেদের এতগুলো শো চলছিল বলে সেটা পাওয়া যায়নি। তবে এর জন্য তিনি কৃতজ্ঞতার রাজিব মেহরার মত কিছু ব্যক্তির কাছে।
লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন সবগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে যন্ত্র। এগুলোর কোনোটা অচল হলে কিছুই হবে না। সুতরাং না পাওয়া গেলে কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। ঠিক যেমন লাইট ক্যামেরা জেনারেটর না থাকলে লক্ষ্মী কাকিমা বা তার বউ হাঁস দুজনে মিলে দুষ্টের দমন করতে পারবে না। ফলে ওই ঘটনায় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, প্রযোজকদের খুব সমস্যা হয়েছে।