এই মুহূর্তে নতুন বছরের আগে প্রায় সব সিরিয়াল এই টানটান উত্তেজনার পর্ব চলছে। দর্শকরা আর অপেক্ষায় থাকতে পারছে না কবে রহস্য উন্মোচন হবে সেটার জন্য। এমনই এক টানটান উত্তেজনার পর্ব নিয়ে এলো এবার এক্কা দোক্কা।
স্টার জলসার এই ধারাবাহিক শুরু থেকেই দর্শকদের বেশ কাছের কারণ বহুদিন পর পর্দায় ফিরে এসেছে মোহর অর্থাৎ সোনামণি সাহা। অভিনেত্রীর অজস্র ভক্ত রয়েছে যারা দীর্ঘদিন তাকে পর্দায় দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল এবং শেষমেষ তাকে রাধিকা রূপে পেয়ে খুশি তারা। এইদিকে পোখরাজ রূপে সপ্তর্ষির সঙ্গে নায়িকার জুটি অত্যন্ত ভালো লেগেছে তাদের।
শুরু থেকেই দুটো মূল চরিত্রের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গল্প দেখানো হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে পরিস্থিতির চাপে দুজনের পরিবারের অমতে তারা একে অপরকে বিয়ে করে এবং তারপর থেকেই রাধিকা শ্বশুরবাড়িতে এসে ক্রমাগত অপমানিত এবং অত্যাচারিত হয়ে চলেছে মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে।
এই নিয়ে এর আগে বহুবার প্রতিবাদ জানিয়েছে দর্শকরা যেভাবে খোলামেলাভাবে কেন এই ধরনের হেনস্থা দেখানো হচ্ছে টিভির পর্দায়? তবে এখানেই শেষ নয় এর পাশাপাশি আবার একটি নতুন ধামাকা আসছে। এবার রাধিকার অগ্নিপরীক্ষা নিতে চলেছে তার শ্বশুর বাড়ি। সেখানে সামিল হয়েছে তার স্বামী পোখরাজ।
আসলে সে নিজের বাবাকে বাঁচানোর জন্য কিছু নথিপত্র ঘাটতে মেজ কাকিমার ঘরে যায়। ঠিক সেই সময়ে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা সেখানে আসে এবং তারা ভাবে মেজ কাকিমার গয়না চুরি করছে রাধিকা। সে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেনা কারণ সে পরিস্থিতির শিকার আর ঠিক এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েই তাকে যা নয় তাই বলে অপমান করতে থাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি তাকে চোর অপবাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
আর এখানে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে পোখরাজ একইভাবে তালে তাল মিলিয়ে চুপ করে থাকে এবং বারবার রাধিকার কাছে জানতে চায় সঠিক উত্তর। তবে এখানেই দর্শকদের প্রশ্ন যে এতদিন যখন রাধিকার স্বামী তার পাশে থেকেছে এবং সে ভালো করেই জানে রাধিকা কোন ভুল করতে পারে না তাহলে কেন এইবার চুপ করে থাকছে? এই সময়টা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় দুজনের কাছে কিন্তু এই সময়টাতেই রাধিকা তার স্বামীকে পাশে পায়নি।