কুড়ি নভেম্বর ছিল এক অভিশপ্ত দিন কারণ এই দিনেই আমরা হারিয়েছি বিনোদন দুনিয়ার এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে। তিনি হলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। চনমনে চঞ্চল এক চব্বিশ বছরের ফুটফুটে প্রাণ এভাবে যে শেষ হয়ে যাবে জীবন যুদ্ধে তা ভাবতে পারা যায় না আজও।
তবে ভাগ্যকে এবং প্রকৃতির নিয়মকে মেনে নিতেই হয়। তাই যে আসবে তাকে প্রকৃতির নিয়মে চলে যেতেও হবে। আজ প্রায় ২ মাস হতে চললো অভিনেত্রীর মৃত্যুর। তবে এখনো তার আপনজনেরা এবং তার হাজার হাজার অনুরাগীরা তাকে ভুলতে পারেনি।
এরমধ্যেই হঠাৎ করে যেন এক মিরাকেল ঘটে গেলো। যে ঐন্দ্রিলা শর্মা ইতিমধ্যেই প্রয়াত হয়ে গেছেন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হলো একটি বিশেষ পোস্ট। অভিনেত্রী তার সব থেকে প্রিয় মানুষ অর্থাৎ অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর জন্মদিনে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন নিজের প্রোফাইলে।
তা দেখে রীতিমত চমকে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। তারা সেটা কমেন্ট বক্সে একের পর এক জানিয়েছে। বস্তুত ওটাই ছিল অভিনেতার সঙ্গে ঐন্দ্রিলার শেষ কাটানো জন্মদিন। ওই জন্মদিন উপলক্ষে ঐন্দ্রিলার গোটা পরিবার অভিনেতার সদ্য বানানো ক্যাফেতে হাজির ছিলেন। কেক কেটে এবং পায়েস খাইয়ে সেলিব্রেট করা হলে অভিনেতার জন্মদিন।
সেই সমস্ত দৃশ্য ফুটে উঠেছে ক্যামেরায়। দৃশ্য গুলি ক্যামেরাবন্দি হওয়ার পর তা আপলোড করেছেন শিখা দেবী অর্থাৎ ঐন্দ্রিলা শর্মার মা। এর পাশাপাশি তিনি লিখেছিলেন ঐন্দ্রিলা এবং সব্য দুজনেই চেয়েছিল তাই ফেসবুকে তিনি এটি শেয়ার করলেন।
View this post on Instagram
কিন্তু এভাবে হঠাৎ করে এক মৃত মানুষের ফেসবুক জ্যান্ত হয়ে উঠলো এতে অনেকেই ক্ষণিকের জন্য ভেবে বসেছিল অন্য কিছু। তারপরক্ষণেই তাদের মাথায় আসে না সত্যিই আর ফেরা হবেনা তাদের পছন্দের অভিনেত্রীর। তাই তারা অনুরোধ করেছে যে বা যিনি ওই অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি যেন আর কোন পোস্ট না করেন।
সম্ভবত ঐন্দ্রিলার মা শিখা দেবী নিজে তার মেয়ের অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাই একজনের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন অবশ্যই সেই অ্যাকাউন্ট সক্রিয় থাকবে। আরেকজন লিখেছে স্তব্ধ হয়ে গেছিলাম বলে বোঝাতে পারবো না একসময় মনে হলো দিদি পোস্ট করেছে। এর উত্তরে ওই প্রোফাইল থেকে উত্তর আসে যে হ্যাঁ দিদি অবশ্যই পোস্ট করেছে। তারপরে আরেকজন অনুরোধ করেছেন দয়া করে মৃত মানুষের অ্যাকাউন্ট চালাবেন না কষ্ট হয়। তার উত্তরে ঐন্দ্রিলার ঐ প্রোফাইল থেকে অনুরোধ করা হয়েছে যে প্লিজ মৃত বলবেন না ঐন্দ্রিলা আমাদের কাছে সবসময় আছে ভীষণভাবে।