শুক্রবার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি কাবেরী অন্তর্ধান মুক্তি পেয়েছে। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাচ্ছে বাংলার অন্যতম তাবড় নায়ক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী ও তার বিপরীতে দেখা যাচ্ছে শ্রাবন্তীকে। ছবির মুক্তির পরে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম থেকে শ্রাবন্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেই ছবিসহ নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা রকমের মন্তব্য করেন অভিনেত্রী।
সব থেকে অবাক করা বিষয়, ২৫ বছর আগে যার মেয়ের অভিনয় করেছিলেন আজ তাঁরই বিপরীতে অভিনয় করছেন। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী বলেন, বুম্বাদা এবং তার চরিত্রে রসায়ন সম্পর্কে বললে ছবির সাসপেন্স নষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু অবশ্যই এই কাজটি করার জন্য তিনি যে পরিমাণ সাপোর্ট এবং কমফোর্টনেস তাঁর কো – অ্যাক্টর অর্থাৎ বুম্বা দার কাছ থেকে পেয়েছেন তা কথায় প্রকাশ করার মতো না।
সম্প্রতি অভিনেত্রীকে আর বাণিজ্যিক ছবি করতেও বিশেষ দেখা যায় না। আসলে তাঁর কীরকম পছন্দ সেটা জানতে চাওয়া হল খুব সহজ করে অভিনেত্রী উত্তর দেন। শ্রাবন্তির মতে তিনি যেকোনও প্রকার ছবি করতেই রাজি। তাঁর কেবল ভাবনার বিষয়, তিনি আদেও সেই চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারবেন তো! যদি তাঁর মনে হয় তিনি এই কাজটি করতে পারবেন না তবে তিনি না করেন। বাকি কাজের ক্ষেত্রে তাঁর কোন বাদ বিচার নেই।
ছবিতে শ্রাবন্তির মুখে একটি সংলাপ ভীষণ জনপ্রিয়ও হয়েছে। সংলাপটি হল, ‘ আমার ন্যু’ডিটি আমার কনসার্ন ‘। বাস্তবে এই কথাটি নিজের জীবনে ঠিক কতটা মেনে চলেন অভিনেত্রী? এই প্রশ্নটি করাতে হাসিমুখেই সিনেমা থেকে নিজের জীবন সম্পর্কে নানান রকমের কথা তুলে ধরেন।
View this post on Instagram
সবার আগে তিনি ট্রলারদের কথা তুলে ধরেন। তাঁর মতে এখন মানুষের জীবনে বড্ড বেশি সময়। তাই নিজের জীবন বাদ দিয়ে অন্যদের জীবন নিয়ে বড্ড বেশি চিন্তিত ও ভাবুক তাঁরা। তাঁর নিজের জীবনে কাজের অভাব নেই, তাই অত বেশি তাদেরকে নিয়ে মাথা ঘামাবার সময়ও নেই। এছাড়া কেউ যদি খোলামেলা পোশাকে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তাতে কে কী ভাবল সেটা মাথা ঘামাবার বিষয়ই নয় বলে শ্রাবন্তী মনে করেন।