বাংলা মিডিয়ামে পড়েও যে ইংলিশ মিডিয়ামে পোড়ানো যায় তা নিয়েই শুরু হয় ষ্টার জলসার ‘বাংলা মিডিয়াম’। আর তাই প্রথমদিকে দর্শকদের কাছে বেশ প্রিয় হয়ে ওঠে এই ধারাবাহিক। ইংলিশ মিডিয়ামের পাশাপাশি বাংলা মিডিয়ামকেও তার সঠিক সম্মানীয় স্থান ফিরিয়ে দেওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ধারাবাহিকের নায়িকার কাছে। তবে সম্প্রতি পর্বগুলি সেই উদ্দেশ্য থেকে অনেকটা সরে গিয়েছে। আর এরফলেই খেপে উঠেছে দর্শকগণ।
অন্যান্য ধারাবাহিকের মতোই এই ধারাবাহিকও একই পথে হাঁটছে। গল্প যেমনই হোক না ঘুরেফিরে বিয়ের প্রসঙ্গ আসবেই। আর সেই বিয়েও হয় উদ্ভট সব নওমি। মালা উড়ে গলায় পরবে, সিঁদুর উড়ে সিঁথিতে পড়বে, এমন দৃশ্যের সাক্ষী বহুবার হয়েছেন দর্শকরা। এবার মদ্যপ অবস্থায় বিয়ে! যা দেখে অবাক দর্শক। আর তারপরই স্টার জলসার এই নতুন শুরু হওয়া সিরিয়াল ‘বাংলা মিডিয়াম’ও ছাড় পেল না ট্রোলের হাত থেকে।
নায়কের ঠাকুমার পছন্দ পাত্রীর সঙ্গে নায়কের বিয়ে দিতে নায়িকাকে শরবতে অচৈতন্য হওয়ার ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। নায়িকা হুঁশ হারিয়েছে, এমন ভ্যান করছে যেন মদ্যপ অবস্থায় রয়ছে সে। আর সেই পরিস্থিতিতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ছাদনাতলায়। সজ্ঞানে বিয়েতে রাজি না হওয়ার কারণে ইন্দিরা অর্থাৎ নায়িকাকে অজ্ঞান করে বিয়ের মণ্ডপে বসানো।
আর তারপরই শুরু ট্রোল, একজন নেটিজেন লেখেন, “অজ্ঞান করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ দোষ সেই বউয়ের হবে”। কেউ কেউ আবার কটাক্ষ করেছেন, “বিয়ের দিনও মাথায় বিনুনি ইন্দিরার! সব মিলিয়ে এক বিয়েতেই ট্রেন্ডিংয়ে বাংলা মিডিয়াম”। আবার কেউ বলেছেন, “টিআরপি পাওয়ার লোভে এখানেও বিয়ে ঢুকিয়ে দিল, আবার সেই শ্বশুরবাড়ি কুটনামি দেখাবে”।
তবে এরূপ বিয়ে কিভাবে মান্যতা পাবে, তা নিয়ে যদিও থাকছে অনেকগুলি প্রশ্ন। এ নিয়ে ধারাবাহিকের প্রযোজক এবং লেখক সুশান্ত দাস বলেছেন, “কোন ভাবে বিয়ে মান্যতা পাবে, সেটা আমরা জানি। ফলে প্রোমো দেখে কিছুই বলা যাবে না। এর জন্য এপিসোডটা দেখতে হবে। প্রোমোতে তো বিয়েটা হচ্ছে না, তাই না? এটুকু বলতে বলতে পারি, লজিকের বাইরে কিছুই হচ্ছে না।”