ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি আজকে থেকে নেই। এক দশক ও তার আরও এক দশকের অর্ধেক জুড়ে এই জগতে রয়েছেন তিনি। এটাই কি চারটি খানি কথা? একদমই নয়। ইন্ডাস্ট্রির পর্দার ওপরের পৃথিবী আর পিছনের জগৎ অনেকটা আলাদা।
পর্দার ওপরে দেখে যতটা তাঁদের বিলাস বহুল লাগে, পর্দার পিছনে বোঝা যায় তার পিছনে খাটনি কত? নিজেকে সবসময় রাখতে হয় ফিট ফাট। সব সময় খেয়াল রাখতে হয় দর্শকদের মন মতো হতে পারছেন তো তারকারা। কারণ দর্শক ছাড়া তারকারা আদতে কিছুই নন।
কিন্তু, এত কিছুর মধ্যে এইভাবে নিজেকে কতটা কন্ট্রোল করা যায়। তার ওপর যখন প্রায় দু দশক ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে থাকছেন। তিনি আর কেউ নন, ঋতুপর্ণা। তবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত নয়, সেন। তিনি আসলে নিজের পুরো নামের চেয়েই “ঋ” নামেই পরিচিত।
প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন। একাধিক সিনেমা ও একাধিক সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি। শুধুমাত্র অভিনয় নয়, মুখও হয়ে উঠেছেন সেই সিরিয়ালগুলোর। আবার পাশপাশি টেক্কা দিয়ে একের পর এক ভিলেন অর্থাৎ খল নায়িকার চরিত্রেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
কিন্তু এত কিছুর মাঝেও নিজের রূপের জেল্লাকে ফিকে হতে দেননি অভিনেত্রী “ঋ”। সম্প্রতি দিদি নং ওয়ানের স্টেজে এসেছিলেন। সঞ্চালক রচনা ব্যানার্জিও বহু দিনের পরিচিত তিনি। পুরনো বন্ধু “ঋ”- কে দেখে বেশ আনন্দই পেয়েছিলেন।
স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে আর ছাড়ছেন না। বাগে পেয়েই সবার আগে প্রশ্ন করে বসলেন, রূপের রহস্য কী? আর সঙ্গে সঙ্গে হেসে উত্তর দিয়ে দিলেন, “খুব নিয়মে মেনেই আমি জীবনযাপন করি। সকালে উঠে প্রথমেই আমি কাঁচা হলুদ খাই। তার পর নিমপাতা চিবোই। তারপর একে একে রসুনের কোয়া আর ডাবের জল তো থাকবেই ব্রেকফাস্টে।”
দর্শকরা যখন ভাবছেন হয়তো এতদূর অবধি। কিন্তু এটাই নয়। পর পর আরও বলে গেলেন, “এগুলো খাওয়ার পর দুটো খেজুর, একটা ডিম সিদ্ধ ও কফি খেয়ে জিমে চলে যাই।”