হঠাৎ মাথায় আঘাত লেগে বা আজগুবিভাবে নয়, বরং একদম বৈজ্ঞানিক ভাবে স্মৃতি ফিরছে নায়িকার। এই প্রথম কোনও ধারাবাহিক এতটা বাস্তব দেখে দর্শক মহলে বেশ প্রশংসা কুড়িয়ে নিচ্ছে স্টার জলসার গাঁটছড়া। আর প্রশংসা করার মতোই কাজ করছে নির্মাতারা। মূলত একটি ধারাবাহিক তৈরির ক্ষেত্রে নির্মাতাদের অনেক কিছু নজরে রাখতে হয়।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাড়াবাড়ি করতে দেখা যায় নির্মাতাদের। বরং এখন নিখাদ প্রেম ভালোবাসার গল্প তো বড্ড দূর, পরকীয়া ও ত্রিকোণ প্রেম না দিলে যেন সিরিয়ালের আসল গল্প জমছে না। হুটহাট করে বিয়ে, উড়ন্ত সিঁদুর বা নিজেকে নিজেই সিঁদুর পরিয়ে নেওয়া এসব ঘটনার সাক্ষী বাংলা ধারাবাহিকের দর্শকরা বছর বছর ধরেই হয়ে আসছেন।
কিন্তু এসবের মাঝে এখন যদি একজন নায়িকার স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে হয়, সে আর এমন কী ব্যপার। হঠাৎ একটা ঘটনায় সব মনে পড়ে যাবে, আর ব্যস পিছনে ধুম তানা নানা বাজবে। কিন্তু সবসময় যে এটা হয় না, সব ধারাবাহিকেই যে গল্পের গরু গাছে চড়ে না সেইটা আরও একবার প্রমাণ করল স্টার জলসার গাঁটছড়া ধারাবাহিক।
গল্পের এতদূর অবধি আমরা জানি, খড়ির স্মৃতি হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওকে মডার্ন সাজিয়ে ঈশা রূপে সাজিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু এসবের পিছনে একটি বড় ষড়যন্ত্র কাজ করছে। আর সেটি হল দেবলীনা সিংহরায় বাড়ি দখল করাই আসল উদ্দেশ্য।
সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ঈশা জানতেও পেরে যায় যে তাঁর আসল পরিচয় এটা নয়। বরং সে খড়ি এবং ঋদ্ধিমান তার স্বামী। অন্য সিরিয়াল হলে এরপর বেশ কিছু চমকে খড়ির সব স্মৃতি ফিরিয়ে আনতো। কিন্তু এখানে সেরকম কিছুই হয়নি।
বরং এই ধারাবাহিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওষুধের হাই ডোজের জন্য তাঁর স্মৃতি ফিরতে সময় লাগবে। এবং ঋদ্ধিমান ধীরে ধীরে একটু একটু ঘটনা ব্যখ্যা করে তাঁকে স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করছে। আর এটা দেখেই দর্শকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন, “যারা বলে সব সিরিয়ালে এক কাহিনী, কোনও নতুনত্ব নেই, তাদের গাঁটছড়া দেখা উচিত”।