বাংলার মুখ উজ্জ্বল করে সঙ্গীত জগতে বার বার গোটা ভারতে বিরাজ করেছেন বাঙালিরাই। আর সেই ধারাকে এখন শক্ত হাতে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। বরাবরই নিজের শান্ত, ধীর স্থির স্বভাবের জন্য বিখ্যাত তিনি। তাঁর ছিমছাম স্বভাব, একদম সাধারণের থেকেও অতি সাধারণ থাকা বরাবরই আরও বেশি করে মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। উন্নতির দিক দিয়ে দেখতে গেলে পৌঁছে গিয়েছেন একদম শিখরে। তবে বরাবর তাঁর সাধারণ হওয়া বেশ আকর্ষণ করে। নাম তাঁর কী এমনি এমনিই!
পার্টি সং থেকে প্রেমের গান সবই তাঁর তালিকায়। তাও তাঁর বদনাম দুঃখের মহারাজ হিসেবে। প্রেমে আঘাতের পর তাঁর গান নাকি বেশি করেই কাঁদায়। তবে গানের পাশাপাশি তিনি বিখ্যাত তাঁর স্বভাবের জন্যও। নিজেকে খুব সাদামাটাভাবেই রাখতে পছন্দ করেন তিনি। তার সোজাসাপটা ও সাধারণ জীবন যাপন যেন তাঁকে আরও অসাধারণ বানায়।
এর প্রমাণ মাঝে মধ্যেই পাওয়া যায়। আরও একবার নতুন করে তাঁর ভক্তরা তার প্রমাণ দিলেন। জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিৎ সিং। সেখানে একটি স্কুটি নিয়ে মাঝে মধ্যেই তাকে দরকারি কাজে এদিক ওদিক দেখা যায়। তখনও খুব ভদ্রভাবে শান্তভাবে কথা বলেন সবার সঙ্গে। তিনি যে এত বড় মাপের তারকা সেটা ঠাহরই করা যায় না।
একদল ভক্ত তাঁর সঙ্গে দেখা করতে জিয়াগঞ্জ পৌঁছে যান। আর সেখানে গিয়ে তাঁদের মতো আরও অনেকের সঙ্গে দেখা করতে থাকেন অরিজিৎ সিং এর বাড়ির সামনে। সকাল থেকে অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁরা। অরিজিৎ সিং এর বাড়িতে যারা কাজ করেন তাঁদের সঙ্গেও দেখা হয়।
কিন্তু দেখা পাওয়া যায় না “ভগবান” এর। জানা যায় তখন নাকি বাড়িতে ছিলেন না তিনি। তবে শুধু অরিজিৎ সিং নয়, তাঁর বাড়ির বাকিরাও ভীষণই মাটির মানুষ। তাঁর ভোক্তরা অনেকক্ষন অপেক্ষা করায় ঠান্ডা পানীয়, ঠাকুরের প্রসাদ কাটা ফল অপেক্ষারত ভক্তদের দেন।
আর অবশেষে তাঁদের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে। বাড়ি ফিরে তাঁদের সকলের সঙ্গে দেখা করেন, ছবি তোলেন, একটু আড্ডাও দেন। এতটাই মাটির মানুষের মতো আচরণ তাঁর। তাঁকে দেখে কেউ বলবে না, যে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি তো বটেই, বলিউডে প্রত্যেকে তাঁর কাছে মাথা ঝুঁকিয়ে থাকে। আসলে শিল্পকে মন থেকে অনুভব করলেই একজন মানুষ এতটা মাটির কাছে থাকতে পারে, তবেই না তিনি শিল্পী।