স্টার জলসা সম্প্রতি শুরু হওয়ার ধারাবাহিক হলো বালিঝড় (Balijhar)। কে যে কাকে ভালোবাসে, পর’কীয়া, ত্রিকোণ প্রেম সব মিলিয়েই এই ধারাবাহিক। শুরু থেকেই বেশ ভালোমতো টি আর পি কুড়িয়ে নিচ্ছে। কিন্তু দর্শকদের তো মনে একটু খুঁত খুঁত থেকেই যাচ্ছে।
ধারাবাহিকটির মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন তৃণা সাহা, ইন্দ্রাশিষ রায় ও কৌশিক রায়। ঝোরার দিক দিয়ে প্রথম থেকেই ত্রিকোণ প্রেমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রথমে দর্শকরা ভেবেছিল ঝোরা বিয়ে করলে কাকে বিয়ে করবে? অবশ্য সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে ঝোরা নিজেই। এটা স্পষ্ট যে ঝোরা আর যাই হোক, মহার্ঘ্যকে ভালোবাসে না।
কিন্তু বাবার কথা সে এড়াতে পারেনি। নিজের মতের বিপরীতে গিয়ে ভাঙা মন নিয়েই মহার্ঘ্যের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে ঝোরা। এদিকে আবার বিয়ের দিন কনে সাজেই পালিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে প্রোমোতে। আর এই নিয়ে একদল দর্শকদের বহু কিছু চোখে লেগেছে।
যেখানে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করলে সত্যিই বাড়ির লোকজন ভীষণ অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। আর তাতে বেশ ভালোরকম সম্মানহানীও হয়। আরও হাজার রকমের রিস্ক নিচ্ছে
ঝোরা। কিন্তু কী করছে “স্রোত”? আর তাতেই দর্শকরা মনে করছেন, এরকম এক তরফা ভালোবাসায় চলবে না। স্রোতকেও তাঁর ভালোবাসা প্রমাণ করতে হবে!
কারণ মহার্ঘ্যও কিন্তু নিজের ভালোবাসার প্রমাণ ভালো মতোই দিচ্ছে। নিজের ভালোবাসাকে ত্যাগ করে ভালো দেখতে পারার মতো মহান শক্তি সবার থাকে না। আর মহার্ঘ্য সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। নিজের ভালোবাসা ত্যাগ করে সে ঝোরাকে তাঁর ভালোবাসার কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিচ্ছে।
শুধু তাই নয়, বিয়ের পরের দিন থেকেই স্রোত ও ঝোরার মধ্যে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছে মহার্ঘ্য। আর সেখানে স্রোত কী করছে? রীতিমতো হাত গুটিয়ে বসে আছে। ঝোরার ভালোবাসা দেখে যেখানে মহার্ঘ্য নিজে স্রোতের কাছে ঝোরাকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা দিয়েছে সেখানে স্রোত গাইছে অন্য সুর। স্রোতের দাবি, তার পরিবার তাকে বুঝিয়ে দিয়েছে, যেটা হওয়ার নয় সেটা কোনওদিনই হবে না।
আর এইসব দেখে দর্শকদের মাথা গরমতো হবেই। ভালোবাসা বিষয়টাতো এতটা ঠুনকো নয়। আর এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনেকের কাছেই যেন সেটা হয়ে গিয়েছে। এই সোশ্যাল মিডিয়ার বোকা বোকা প্রেমিক প্রেমিকার নয়া শব্দ হল, “নিব্বা ও নিব্বি”। দর্শকদেরও এখন ঝোরা আর স্রোতকে ঠিক তাই মনে হচ্ছে।