স্টার জলসা (Star Jalsha) তার টার্গেট অডিয়েন্সের দাবি বেশ ভালো মতোই বোঝে। আর চ্যানেলের এই নির্দেশে এক এক করে টপ করেছে দেবী চৌধুরানী, মোহর। কিন্তু গল্পের প্লট, টুইস্ট সব টান টান থাকা সত্বেও কেন সেইরকম জনপ্রিয় হতে পারছে না এক্কাদোক্কা (Ekka Dokka)। চেনা প্লটে একটু অচেনা ছন্দে প্রথম থেকেই দর্শকদের মন জয় করে রেখেছে এই ধারাবাহিকটি। একটু অন্য গল্পের স্বাদে যথারীতি একটি টুইস্ট ঘটে গিয়েছে এপিসোডে। তার মাঝেও গল্পের মোর ঘোরাতে হল অন্যদিকে।
ধারাবাহিকে মূলত গল্পের প্লট হল, দুটি পরিবার যাদের কেউ কাউকে দুচক্ষে দেখতে পারে না, তাঁদের মধ্যেই একটি সম্পর্ক গড়ে উঠবে। তাও আবার যে সে সম্পর্ক নয়, সোজা বিয়ের বন্ধনে বাঁধবে দুই বাড়ি। যদিও এর পিছনে উদ্দেশ্য অন্য। রাধিকা ও পোখরাজের মধ্যে বিয়ে হয়। রাধিকা ওই বাড়িতে বউ হয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যই ছিল নিজের বাবাকে নির্দোষ প্রমাণ করা।
রাধিকার বাবা, কুশল মজুমদারকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসিয়ে নানারকম অপমান বঞ্চনা সহ্য করতে হতো।কিন্তু ওই বাড়ি থেকে রাধিকা উপযুক্ত প্রমাণ একটু একটু করে হাতিয়ে নিতে পেরেছিল। অবশ্য এর জন্য তাঁর শ্বশুরবাড়িতে তাঁকে চোর অপবাদ পর্যন্ত দেওয়া হয়। তবে সেসব সহ্য করে নিজের বাড়িতে ফিরে আসে রাধিকা। এবং অবশেষে নেমে যায় অতি প্রত্যাশিত লড়াইয়ে। পাশে দাঁড়ায় উকিল দিদি। আর উপযুক্ত প্রমাণ দেখিয়ে নিজের বাবাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয় রাধিকা।
কিন্তু অন্যদিকে, পোখরাজের দুই কাকা অপরাধী সাব্যস্ত হয়। তাঁর বিয়ে, অপমান, বঞ্চনা সব স্বার্থক হয়। আর এটা দেখে দর্শকরাও মুগ্ধ হয়ে যায়। অনেকেই লিখেছেন, সত্যের জয় সবসময়। ওনার হারিয়ে যাওয়া সন্মান উনি ফিরে পেলেন। রাধিকা পারলো তার বাপি কে নির্দোষ প্রমাণ করতে।
আর এই সময়ই পোখরাজকে খল নায়ক করে আগমন হচ্ছে নায়ক অনির্বাণ গুহের। আর পিছনে নাকি রয়েছে চ্যানেল। চ্যানেলের মতে এই ধারাবাহিকের এত টান টান গল্প হওয়া সত্বেও দর্শক না আসার কারণ হচ্ছে, দর্শকদের মধ্যে বিশেষ পসার জমাতে না পারা পোখরাজ ওরফে সপ্তর্ষি মল্লিক।
তাই ধারাবাহিকে নতুন করে এন্ট্রি করানো হয়েছে বেশ পরিচিত ও দর্শকদের প্রিয় প্রতীক সেনকে। সম্প্রতি সাহেবের চিঠি শেষ হয়েছে। আর তাতে প্রতীক সেন যেমন জনপ্রিয় হয়েছেন তেমন শেষ হয়নি চ্যানেলের সঙ্গে কনট্র্যাক্ট। কিন্তু এত কিছুর পর কী হল! শেষ ঠিক মতো স্লটটুকু পাচ্ছে না এই ধারাবাহিক!
