আগেই শোনা গিয়েছিল, বন্ধ হতে চলেছে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গোধূলি আলাপ’। শেষ কয়েকটা সপ্তাহে টিআরপি-র নম্বরে জি বাংলার থেকে বেশ পিছিয়েই পড়েছে স্টার জলসা। দেখা গেল, স্টার জলসার ধারাবাহিকের মধ্যে প্রথমে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ থাকলেও জি বাংলা ও স্টার জলসা মিলিয়ে প্রথম পাঁচে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ আর ‘বাংলা মিডিয়াম’ ছাড়া সেভাবে আর কোনও ধারাবাহিকের জায়গা হচ্ছে না। আবার মাঝে মাঝে ‘বাংলা মিডিয়াম’ও পিছনে পড়ে যায়। আর তাই হয়তো আবার নতুন করে কামব্যাক করতে চলেছে জলসা এবারে।
বড় রকমের রদবদল হয়েছে টাইম স্লটে। জানা যাচ্ছে, ৫ জুন থেকেই সোম থেকে রবি সন্ধে ৭টায় আসছে তুঁতে। ইতিমধ্যে তার প্রোমো চলে এসেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, ‘গাঁটছড়া’কে শেষ করে সেই জায়গায় দেওয়া হবে নতুন এই সিরিয়াল। তবে এখনই গাঁটছড়া বন্ধ হচ্ছে না। এবার চ্যানেলের তরফে ১০.৩০-এ পাঠিয়ে দেওয়া হল গাঁটছড়াকে। আর তারফলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ‘গোধূলি আলাপ’। তুঁতের প্রোমো থেকেই জানা যায়, নামী ফ্য়াশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বড় হওয়া গ্রামের এক মেয়েকে নিয়েই গল্প এই ধারাবাহিকের।
তাঁর হাতে জাদু রয়েছে বলে বিশ্বাস করে তাঁর গ্রামের সকলে। পুরনো শাড়ি কেনে চমক লাগানো পোশাক বানিয়ে ফেলে সে নিমেষে। এদিকে সৎ মা-দুর্ব্যবহার তার প্রতি। টাকার লোভে যে তুঁতেকে শহরে পাঠিয়ে দেয়। তুঁতে আসে নামী ডিজাইনারের বাড়ি লাহিড়ি ম্যানসনে। গ্রামের মেয়ের ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্নের কথা শুনে সকলে যখন তুঁতেকে উপহাস করে, তখন পাশে এসে দাঁড়ায় নায়ক সৈয়দ আরেফিন। ধারাবাহিকে তুঁতে চরিত্রে রয়েছেন দীপান্বিতা রক্ষিত। উক্ত এই মেগার জন্যই বন্ধ হচ্ছে ‘গৌধূলি আলাপ’।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল এই মেগার স্লট পাল্টানো হবে। তবে কৌশিক সেন এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, “অরিন্দম-নোলকের অসমবয়সি প্রেম কখনোই টিআরপি তালিকায় প্রথম দশে জায়গা করতে পারেনি। কিন্তু হটস্টারে জনপ্রিয় ছিল। শ্যুটের সময়টা ভালো কেটেছে। এই জন্য প্রযোজকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।” ৪ জুন ধারাবাহিকের হবে শেষ সম্প্রচার। আবার এই ধারাবাহিকের ভক্তরা চাইছে না ধারাবাহিকটি বন্ধ হোক বলে। তারা চান ‘গাঁটছড়া’ বন্ধ হোক।
খড়িকে ছাড়া এই ধারাবাহিক দেখার ইচ্ছা নেই দর্শকদের। তাই বর্তমানে ‘গাঁটছড়া’র থেকেও বেশি পছন্দ হচ্ছে ‘গোধূলি আলাপ’এর গল্প। আর তাই দর্শকরা চান, ‘গোধূলি আলাপ’ চালু রেখে বন্ধ করা হোক ‘গাঁটছড়া’। আগেও অনেকবার হয়েছে, অনেক ধারাবাহিকের টিআরপি কম থাকলেও সেগুলি দীর্ঘদিন চলেছে। তাই টিআরপি কমের জন্যই এই ধারাবাহিক বন্ধ করার বিশেষ প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন দর্শকরা। বরঞ্চ এর বদলে অন্য কোনও ধারাবাহিক বন্ধ করা হোক, বলে দাবি জানায় দর্শকরা। এবার চ্যানেল তার সিদ্ধান্তে কোনও বদল আনবে কি না, তাই দেখার।