মেয়েবেলা ছাড়তেই নতুন কাজে ফিরছে পুরনো ‘বীথি মাসি’ রূপা গাঙ্গুলী! ছোট পর্দায় আবার কামব্যাক? রইল চমকে দেওয়া তথ্য
স্টার জলসার ‘মেয়েবেলা’ থেকে রূপা গাঙ্গুলি বিদায় নিয়েছেন অনেকদিন হল। দীর্ঘ আট বছর পর ‘মেয়েবেলা’ মাধ্যমে ফের ছোট পর্দায় ফিরেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সিরিয়ালে নায়কের মা বীথির চরিত্রে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই রূপা নিজেই এই চরিত্রটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এর কারণ বশত তাঁর রাজনৈতিক কর্মব্যস্ততা যেমন একটা কারণ, তেমনই শোনা যায়, ধারাবাহিকে বীথি চরিত্রটিকে যে ভাবে দেখানো হচ্ছিল, তা মোটেই পছন্দ ছিল না রূপার।
এবার শোনা গেল, আবার পর্দায় ফিরছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তবে কোন ধারাবাহিকে ফিরছেন তিনি? কোন রোলে আসছেন রূপা? প্রশ্ন এখন সকলেরই। হ্যাঁ, তিনি বিশেষ এক গুরুত্বপূর্ণ রোলে ফিরছেন। অভিনেতা দেবদূত ঘোষ-এর পরিচালনায় একটি গল্পে তিনি ফিরছেন। ছোট পর্দায় আগেও দেবদূতকে পরিচালনা করতে দেখা গেছে। কিন্তু এবার আর ধারাবাহিক নয়, সিনেমা নিয়ে আসছেন তিনি।
দেবদূত ঘোষের প্রথম ছবি ‘আদর’ আসছে খুব শীঘ্রই। আর তাতেই দেখা যাবে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। ২৩ শে জুন বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে দেবদূতের এই প্রথম ছবি ‘আদর’। জানা গিয়েছে, ‘আদর’ এক হাতির গল্প। গল্পটি ত্রিপুরার খারকাই নামে একটি ছোট গ্রামকে ঘিরে হয়েছে। রবীন্দ্রযুগের বিখ্যাত লেখক প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত ‘আদরিনী’ শিরোনামের মূল গল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি এই ছবি।
চলতি বছরে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়-এর ১৫০ বৎসর পূর্তিতে এটাই হল তাঁকে স্মরণ করে দেওয়া একটি উপহার। গল্পটি শুরু হয় শ্রী জয়রাম মুখোপাধ্যায় নামে একজন গ্রামের আইনজীবীকে কেন্দ্র করে। জয়রাম হলেন একজন মাঝারি আয়ের ব্যক্তি, যিনি সেই এলাকার একটি বড় জমিদার পরিবারের অহঙ্কারের জবাবে একটি হাতি কিনেছিলেন। জয়রাম জমিদারের প্রয়াত পিতার আইনী উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি তাঁকে অনেক আইন সংক্রান্ত সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেছিলেন। সেই দাবিতেই জমিদারকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর মেয়ের বিয়েতে যাতায়াতের জন্য একটি হাতির ব্যবস্থা করে দিতে।
জয়রামের ধারণা ছিল যে জমিদার তার প্রয়াত পিতার সুহৃদের এমন বিনীত অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করবেন না। কিন্তু দেখা যায়, জমিদারের স্ত্রী জয়রামের অনুরোধ অভদ্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। তখন বৃদ্ধ লোকটি এই আচরণে এতটাই অপমানিত বোধ করেছিলেন। তারপরই তিনি তার পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা সমস্ত অর্থ দিয়ে একটি হাতি কেনেন। সেই অল্পবয়সী হাতিটি ধীরে ধীরে তার পরিবারের একটি অংশ হয়ে ওঠে। জয়রাম তার সঙ্গে নিজের মেয়ের মতো আচরণ করতে শুরু করে। নাম রাখেন ‘আদর’। আর তাঁকে ঘিরেই এই গল্প।