বাংলা টেলিভিশন কাঁপাচ্ছে এখন ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া। দর্শকদের কাছে মারাত্মক রকমের জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ধারাবাহিকটি। বলা বাহুল্য বাংলা ধারাবাহিকের ভক্ত অবশ্য অনুরাগের ছোঁয়া দেখেন না এমন দর্শক পাওয়া এখন ভার। আর এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী।
পারিবারিক জটিলতা, সম্পর্কের টানাপোড়েনে বিধস্ত এই ধারাবাহিকে মাঝেমধ্যেই ঝোড়ো হওয়ার মতো নিয়ে আসা হচ্ছে বেশ কিছু চমকে দেওয়া পর্ব। সূর্য-দীপার সম্পর্কের একঘেয়েমি কেটে যাচ্ছে সোনা-রূপার অসাধারণ অভিনয় ও দারুণ গল্পে। ছোট্ট ছোট্ট এই দুই চরিত্র দর্শকদের ভীষণ প্রিয়।
বাবা-মায়ের সম্পর্কের সত্যিটা জানে রূপা। কিন্তু মায়ের কড়া নির্দেশে নিজের বোন সোনা এবং বাবা সূর্যকে কিছুই বলে উঠতে পারে না সে।এই মুহূর্তে সোনার শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই মুহূর্তে রূপাকে সঙ্গে নিয়ে দীপা সেনগুপ্ত বাড়িতেই রয়েছে। সোনা নিজেকে অনাথ ভাবছে আর তা ভেবে কষ্ট পাচ্ছে। সে খুঁজে বেড়াচ্ছে নিজের আসল বাবা-মাকে। সে তাদের কাছেই চলে যেতে চায়।
কিন্তু সোনা চলে গেলে আর বাঁচতে পারবে না সূর্য। অন্যদিকে কেউই সত্যিটা কাউকে বলছে না। দীপা বাড়িতে থাকায় তাকে বিভিন্ন সময় অপদস্থ, অপমানিত করছে সূর্য। ফুলমার প্রতি বাবার ব্যবহারের প্রতিবাদও করেছে সোনা। সে ক্রমে সরে যাচ্ছে বাবার থেকে।
অন্যদিকে উর্মি নিজের দিদি অন্যদিকে আবার বড় জা দীপাকে গিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করে নিতে বলে। কিন্তু সূর্যের সমস্ত অপমান নীরবে সহ্য করলেও নিজের চরিত্রের ওপর ওঠা দাগ নীরবে মাথা পেতে সহ্য করবে না দীপা বলে জানিয়ে দেয় উর্মিকে। অন্যদিকে দুই মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে দীপা সূর্যকে নতুন করে জীবন শুরুর কথা বলে। কিন্তু সূর্য বলে সাতজন্ম তো নয় একজন্মের জন্যও সে আর দীপার সঙ্গে থাকবে না। কি ভাগ্যে রয়েছে সূর্য-দীপার?