এ কেমন ডাক্তার! ‘একজন নিজের বাচ্চাকে চিনতে পারে না অন্যজন আবার কার বাচ্চা কার পেটে সেই দেখে বেড়াচ্ছে’! খিল্লি হচ্ছে সূর্য ও রাধিকার

বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় চিকিৎসকের অভাব নেই।‌ বিভিন্ন সময় চিকিৎসকের চরিত্রে নজর কেড়েছেন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী। এ যেমন ধরুন দেশের মাটি ধারাবাহিকের কিয়ান অথবা অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chowa) ধারাবাহিকের সূর্য। আবার এক্কাদোক্কা (Ekka Dokka) ধারাবাহিকের পোখরাজ, রাধিকা, অনির্বাণ সবাই কিন্তু চিকিৎসক। স্টার জলসার পর্দায় এখানে আকাশ নীল ধারাবাহিকের উজান এবং হিয়াও কিন্তু চিকিৎসক‌ই ছিলেন। এবং চিকিৎসকের চরিত্রে তারা রীতিমতো পর্দা কাঁপিয়েছেন।

কাদের জীবনে চলছে বাচ্চা সমস্যা?

তবে এই মুহূর্তে স্টার জলসার পর্দায় বাংলা টেলিভিশনে চারজন চিকিৎসকের দেখা মিলছে। অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকের নায়ক সূর্য এবং এক্কাদোক্কা ধারাবাহিকের দুই নায়ক অনির্বাণ এবং পোখরাজ এবং নায়িকা রাধিকা। তবে অন্য কোনও চিকিৎসা নয়, বা অন্য কারর চিকিৎসা নয়! দুই ধারাবাহিকের দুই নায়ক-নায়িকার জীবনে শুধুমাত্রই বাচ্চা সমস্যা। অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকের সূর্য এবং দীপার দুই সন্তান সোনা এবং রূপা।‌ সোনা বড় হয়েছে তার বাবার কাছে অন্যদিকে রূপা বড় হয়েছে মায়ের কাছে।‌

যদিও সমস্ত তথ্য প্রমাণ সামনে থাকলেও সেই সব কিছুকে অগ্রাহ্য করে সূর্য মনে করে রূপা অন্য কারর সন্তান। তার বদ্ধমূল ধারণা দীপার সঙ্গে কবীরের কোন সম্পর্ক ঘটিত কারণে জন্ম হয়েছে রূপার। আর এই সন্তান সমস্যা নিয়ে একের পর এক পর্ব চলছে তো চলছেই। এর কোন‌ও মীমাংসা হচ্ছে না। সূর্য দীপাকে অপমান, অবহেলা, অবজ্ঞা করেই চলেছে আর মাথা পেতে তা শুনে চলেছে দীপাও। এই সন্তান সমস্যার শেষ যে কবে হবে তা কেউ জানে না। যদিও ধীরে ধীরে অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকের নায়ক সূর্য খলনায়কে পরিণত হয়েছে দর্শকদের চোখে।

এবার একটু আলো ফেলা যাক এক্কাদোক্কা ধারাবাহিকের উপর। দুই চিকিৎসকের প্রেমের কাহিনী নিয়ে শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিকটি। পোখরাজ এবং রাধিকা। ‌যদিও লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এই জুটি ভেঙে দুটি নতুন জুটি তৈরি করেন। পোখরাজ এবং রঞ্জাবতী সুখে সংসার করলেও চিকিৎসক রাধিকার জীবনে যেন সমস্যার শেষ নেই। তার জীবনের নায়ক হয়ে এসেছে চিকিৎসক অনির্বাণ গুহ। ‌ তবে নায়ক হলেও সুখ আসেনি। বাচ্চা সমস্যা নিয়ে জেরবার রাধিকা।

ঘটনা কী?

রাধিকা ও অনির্বাণের বিয়ে একবার কার্যত ঠিক হয়ে গিয়েও ভেঙে যায়। তখন রাধিকার পেটে থাকা একটি টিউমারকে সবাই ভুল বুঝে ভাবে যে রাধিকা প্রেগন্যান্ট। অনির্বাণ ভাবে পোখরাজের সন্তান রয়েছে রাধিকার পেটে। তখন যাচ্ছেতাইভাবে সে অপমান করে রাধিকাকে। কিন্তু পরে ভুল বুঝতে পারে নিজের। অবশেষে বিস্তর ঝড়-ঝাপ্টা পেরিয়ে বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু বিয়ে হতে না হতেই হাজির ভিলেন। এবার রাধিকা-অনির্বাণের সুখের সংসার ভাঙতে চলে এসেছে কমলিনী। রাধিকার কান ভাঙানি দিতে শুরু করেছে সে। এমনকি দাবি করেছে অনির্বাণের সন্তান রয়েছে তার পেটে। যথারীতি কমলিনীকে বিশ্বাস করে অনির্বাণের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙতে চলেছে রাধিকা। একজন নিজের সন্তানকে চিনতে পারেন না অন্য জন আবার কার সন্তান কার পেটে চলে যাচ্ছে সেটা বুঝতে পারেন না! বড়‌ই বিড়ম্বনা এই দুই চিকিৎসকের!