নুসরাত জাহান (Nusrat Jahan) হলেন একজন টলিউড অভিনেত্রী, যিনি প্রধানত বাংলা সিনেমায় একের পর এক কাজ করে গিয়েছেন। ২০১৯ সালে, জাহান সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িত হন এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে লোকসভার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাহানের পর্দায় অভিষেক হয়েছিল রাজ চক্রবর্তীর ‘শত্রু’ (Sotru) ছবির মাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়সময় তিনি চর্চায় থাকেন। সম্প্রতি তাঁর উপর করা হল মারাত্মক অভিযোগ। তাঁরই এক সংস্থার বিরুদ্ধে উঠেছে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। সংস্থার নাম ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’।
সংস্থার সঙ্গে ঠিক কতটা যোগ ছিল নুসরতের?
গত সোমবার কলকাতার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের (ইডি) দপ্তরে নুসরাতের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতারণার শিকার কয়েকজন ভুক্তভোগীকে নিয়ে শঙ্কুদেব পাণ্ডা এই অভিযোগ দাখিল করেছেন। উক্ত যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তার অন্য়তম ডিরেক্টর ছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান। সাংসদের বিরুদ্ধে এরূপ অভিযোগ সামনে আসতেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সংস্থার সঙ্গে ঠিক কতটা যোগ ছিল নুসরতের? তা নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ খুলেছেন সেই সংস্থারই অন্য একজন ডিরেক্টর।
কী বলছেন ডিরেক্টর রূপলেখা মিত্র?
পেশায় তিনি অভিনেত্রী, নাম রূপলেখা মিত্র। বেলঘড়িয়ায় রূপলেখার ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েই চলে ওই সংস্থার অফিস। অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীদের দাবি, সমবায়ের মাধ্যমে ফ্ল্যাট পাওয়ার জন্য় টাকা জমা দিলেও ফ্ল্যাট পাননি তাঁরা কেউই। ওই সংস্থারই ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত। যদিও নুসরত এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। সূত্রের খবর, এই মামলার জন্য আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছেন নুসরাত। যদিও বর্তমানে নুসরতের সঙ্গে ‘উই ব্রিং এক্সিম’ সংস্থার কোনও যোগাযোগ না থাকলেও অভিনেত্রী আগে ‘সেভেন সেন্সেস’ সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন।
নুসরাত-যশের ভাইরাল ভিডিও
তিনি জানান, রাকেশ সিং, নুসরত ও তিনি নিজে সেখানে ডিরেক্টর পদে ছিলেন। রূপলেখা স্বীকার করেছেন, তাঁদের সংস্থার কাছে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা পাওনা আছে কয়েকজনের। নোটবন্দি ও কোভিড পরিস্থিতির জন্য সেসকল ফ্ল্যাটের কাজ হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। রূপলেখা মিত্র আরও জানিয়েছেন, তাঁর সেই ফ্ল্যাট রাকেশ সিংকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল, তাতেই চলছিল সংস্থার কাজ। ২০১৭ সালের পর থেকে নুসরত আর ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। তাঁকে ঘিরে এরূপ চর্চার মাঝেই ভাইরাল হল তাঁর ও যশ সেনগুপ্তের পুরোনো একটি ভিডিও।
স্যান্ডি সাহার একটি শোতে তাদের দেখা যায়। সব প্রশ্নের মাঝে একটি প্রশ্ন দর্শকদের চর্চার কেন্দ্র হয়ে ওঠে। স্যান্ডি প্রশ্ন করে, ‘দিনে কতবার হয়?’ সেই প্রশ্নের উত্তরে যশ বলেন, দিনে যতবার মন চায়, আর তারপরই নুসরাতকে দেখে হেসে ফেলে। যদিও পরে স্যান্ডি বলে জিম করার কথা বলছে সে। আমরা জানি, নুসরাতের একবার বিয়ে হয়ে গিয়েছে, যে বিয়েকে পরে অস্বীকার করেন তিনি। আর তারপরই যশের সঙ্গে সম্পর্কের কথা শোনা যায়। উক্ত দিনের শোতে যশের সেই উত্তর ও নুসরাতের অবাক হওয়াকে কেন্দ্র করে দর্শকরা নানান মন্তব্য শুরু করে। নুসরাতের মুখে ‘আমি একটু কনফিউজ ছিলাম’। সম্প্রতি ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগের মাঝেই আবার ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিওটি।
View this post on Instagram