পরমব্রতর সঙ্গে দ্বন্দ্ব! সুচিত্রা সেনের নাতনি হয়েও ইন্ডাস্ট্রিতে কম পারিশ্রমিক! বেফাঁস রাইমা সেন

পশ্চিমবঙ্গীয় চলচ্চিত্র জগতে সেন বংশের অবদান যে অনস্বীকার্য তা বলাই বাহুল্য। অবশ্য‌ই সেন‌ পদবীটা শুনলেই সবার আগে মনে যে মানুষটার কথা চলে আসে তিনি অবশ্যই বাংলার মহানায়িকা সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen)। সৌন্দর্যে, ব্যক্তিত্বে এখনও পর্যন্ত তাকে টপকানোর সাধ্য কারর ছিলনা, হয়নি আর হবেও না।

এমনকী এই সেন বংশের অন্যান্য মেয়েরা অর্থাৎ মহানায়িকার মেয়ে, নাতনীরা সিনেমা জগতে পা রাখলেও তার মতো গ্ল্যামার ছড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও এটা অনেকেই স্বীকার করেন যে সুচিত্রা সেনের কিছুটা রূপ, স্বভাব হাবভাব, অভিনয়ের ক্ষেত্রে সামান্যতম দক্ষতা কিছুটা হলেও পেয়েছেন তার বড় নাতনি রাইমা সেন (Raima Sen)। মহানায়িকার বড় নাতনী কিন্তু তার মতোই বোল্ড। সৌন্দর্য, আভিজাত্যপূর্ণ চেহারায় সুচিত্রার সঙ্গে ভীষণ মিল রাইমার।

Bengali actress

রাইমা বয়স ৪০-এর ঘর পেরিয়ে গেলেও তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই। তিনি রাইমা সেন। মুনমুন কন্যা অভিনয়ে যেমন দক্ষ তেমনিই তার রূপে মাতোয়ারা ভক্তরা‌ l সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। বিভিন্ন সময়ই নিজের নানান হ ট এন্ড বো ল্ড ছবি পোস্ট করে ঝড় তোলেন অনুগামীদের বুকে।অভিনেত্রীর বিয়ে নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রচুর গুঞ্জন শোনা যায়। যদিও অকপটে অভিনেত্রী বলেন, আমিই জানিনা আমার বিয়ে কবে, তা আমি আর কী করে বলব?

অভিনেত্রীর মা-বাবা যে কোন‌দিন‌ই তার ওপর কিছু চাপিয়ে দেননি সেটাও তিনি বলেছেন, জানিয়েছেন, তিনি নিজের কেরিয়ারের শুরু থেকে যা করেছেন বা যে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সবেতেই তার মা-বাবা তার পাশে থেকেছেন সমর্থন জুগিয়েছেন। যদিও বর্তমান নাকি মুনমুন সেন মেয়ের চেহারা নিয়ে ভীষণ রকম চিন্তিত। রাইমাকে তিনি সব সময় কম খেতে বলছেন এবং রোগা হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেত্রী সব থেকে প্রিয় সহঅভিনেতা কে? এর জবাবে অকপটে অভিনেত্রী নিয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম। অভিনেত্রী সম্প্রতি পরমব্রতর সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রিয় সহঅভিনেতা হিসেবে পরমব্রতর নাম নিলেও রাইমার সঙ্গে কিন্তু পরমব্রতর মাঝে বেশ সমস্যা হয়েছিল। যদিও অভিনেত্রীর দাবি এখন সবকিছু চুকে গেছে। পরমব্রত‌ নিজে তাকে এই ছবিতে অভিনয়ের অফার দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

আরও পড়ুনঃ মাথা খারাপ করা টিআরপি! জগদ্ধাত্রী-ফুলকি সমানে সমানে টক্কর! অনুরাগের ছোঁয়া গেল কোথায়?

দীর্ঘদিন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত তিনি। কোন ভালো লাগা, খারাপ লাগা কাজ করে এই ইন্ডাস্ট্রিকে ঘিরে? এই প্রশ্নের জবাবে অকপটে অভিনেত্রী বলেন, এই ইন্ডাস্ট্রিকে তিনি সেই ছোট্ট বয়স থেকে চেনেন, এখানে সবাই তাকে ভীষণ ভালোবাসে। তাই আলাদা করে ভালো বা খারাপ তিনি কিছু বলতে পারবেন না। তবে সবশেষে তার সংযোজন এই ইন্ডাস্ট্রি যদি তাকে আর একটু বেশি টাকা দেয় তাহলে বোধহয় বেশি ভালো হয়। যদিও সমস্ত ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে বাংলা যে তার প্রিয় ইন্ডাস্ট্রি সেটা জানাতে ভোলেননি অভিনেত্রী।