সোশ্যাল মিডিয়া (Social media) এমন এক মাধ্যম যেখানে আমরা মন খারাপ হলে হাসির জিনিস খুঁজে পাই আবার কখনও কখনও অনুপ্রেরণামূলক ঘটনা জানতে পারি। এমন কিছু ঘটনাও থাকে যা আমাদের বিস্মিত করে। আর বাংলা বিনোদনের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে যে নামটি সবথেকে বেশি জনপ্রিয় সেটি অবশ্যই নন্দিনী দি (Nandini Didi) এবং তার পাইস হোটেল। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই এখন এই মহিলা।
কখনও তিনি হাসছেন, কাঁদছেন, কখনও আবার বয়স্ক মানুষদের পেটাচ্ছেন, কখনও বা কাউকে গালাগালি দিচ্ছেন এই সব করেই তিনি সবার চোখে হয়ে উঠেছেন স্মার্ট কিউট নন্দিনী দিদি। তা সে যাই করুন না কেন, রান্না করার পাশাপাশি এখন তিনি অভিনয়টাও বেশ ভালো রকম ভাবেই আয়ত্ত করে ফেলেছেন। আর সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দায় তার সেই অভিনয় দেখেই তার প্রতি এখন ঘৃণা জন্মেছে নেটিজেনদের।
বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় আরও একজন রয়েছেন যিনি নিজের ভক্তদের বিনোদন দেওয়ার জন্য যে কোনও পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারেন। কখনও কখনও তার সেই বিনোদন মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। যা অসহ্য হয়ে ওঠে সবার চোখে। বুঝতেই পারছেন কার কথা বলছি। তিনি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা। আর এবার এই স্যান্ডি গিয়ে পৌঁছেছিল নন্দিনীর হোটেলে।
যেখানে দেখা যাচ্ছে, খালি গা। কানের দুপাশে বাংলা মদের বোতল আটকানো। স্তনবৃন্ত ঢেকেছেন ওল্ড মঙ্ক দিয়ে। দড়ি দিয়ে বেঁধে বিয়ারের বোতল হট প্যান্ট হিসেবে পরেছেন। অদ্ভুত সাজে সেজে আবার আবার গান জুড়েছেন ‘জয় জয় মা, রানি মা।’ এরপর ডালহৌসির রাস্তায় ইতস্তত ঘোরাঘুরি করে, লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভাইরাল নন্দিনী দিদির দোকানে যান স্যান্ডি সাহা।
এরপর নন্দিনী দিদির দোকানে গিয়ে স্যান্ডি তাকে প্রশ্ন করেন ‘কোনটা খাবে?’ ইশারায় দেখান তার পরনে থাকা দেশি-বিদেশি দুই ধরনের মদ, দেশি এবং বিলেতি। নন্দিনী বলেন তিনি তার শরীরে ঝোলানো মদের কোনটাই খান না। তিনি খান কিন্তু অন্য মদ খান। এরপর দিদির উদ্দেশ্যে স্যান্ডির প্রশ্ন এই যে নন্দিনী এত চ্যাঁচান, তার হাত কেটে যায়, পুড়ে যায় এগুলো কি সব সত্যি? নাকি ক্যামেরা দেখে বাড়াবাড়ি করেন? উত্তরে নন্দিনী বলেন, ‘না, না আমি তো ক্যামেরা দেখেই সব করি। সবটাই ভাইরাল হওয়ার জন্য।’ যদিও ব্যঙ্গ করে বলেন তিনি।
এরপর নন্দিনী দিদি স্যান্ডির জন্য আলু ভাজা এনে দেন। সেটার সঙ্গে নিজেই শরীরে লাগানো মদের বোতলের থেকে মদ দিয়ে খাবেন বলে মদ ঢালতে গেলে নন্দিনী তাকে এসে বলেন এটা তার ব্যবসার জায়গা। এখানে কোনরকম নোংরামি তিনি বরদাস্ত করবেন না। এরপরই তিনি স্যান্ডিকে দোকান থেকে বের করে দেন। যদিও পুরোটাই যে স্ক্রিপ্টেড তা বলাই বাহুল্য।