সূর্যর কোলে মিশকার ছেলে, সেনগুপ্ত বাড়িতে ঢুকল দুজন! আজ নিজের ভাগ বুঝে নিতে বোঝাপড়া করল দীপা! তুখোড় পর্ব

অনুরাগের ছোঁয়ায় (Anurager Chhowa) এবার এসেছে চাঞ্চল্যকর মোড়। মিশকার ছেলে হয়েছে আর এটাই সে চাইছিল যাতে সে সেই বাড়িতে ঢোকার অধিকার পায় এবং সূর্যের জীবনে সারা জীবনের মতো ভাগ বসিয়ে দিতে পারে দিপাকে সরিয়ে। এবার দেখা যাক এই পুত্রসন্তান তার তুরুপের তাস হতে পারে কিনা।

মিশকার সন্তান আসছে জেনেই লাবণ্য নরম

মিশকা সূর্যর স্পার্ম চুরি করে প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ে। সেনগুপ্ত বাড়িতে কেউ বিশ্বাস করতে না চাইলে সূর্যের ডিএনএ টেস্ট করা হয় এবং সেখানেই বাচ্চার ডিএনএর সঙ্গে তার ডিএনএ মিলে যায়। তখন থেকে লাবণ্য একটু একটু করে পাল্টাতে শুরু করে। কারন সে বুঝতে পারে মিশকার পেটে তার পরিবারের বংশধর আছে। তার উপরে মিশকা আবার বাড়িছাড়া হওয়ার নাটক করে। তখন লাবণ্য তাকে আশ্রয় দেয় সেনগুপ্ত বাড়িতে। সেই থেকে মিশকা সেই বাড়িতেই আছে।

অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব

সিরিয়ালের আজকের পর্বে শুরুতেই দেখা যায় যে মিশকা এবং তার সন্তানকে ছেড়ে দেওয়া হবে হসপিটাল থেকে এবং তারপরেই সূর্য চিন্তায় পড়ে যায় যে সন্তানকে নিয়ে সে সেনগুপ্ত বাড়িতে কিভাবে দীপা এবং সোনা রুপাকে ফেস করবে। লাবণ্য তাকে আশ্বস্ত করে যে সে দিবা সঙ্গে কথা বলবে, কিন্তু আপাতত সন্তানকে সুস্থ করা জরুরী। এর মধ্যে মিশকা নিজের বাবাকে ফোন করে এবং ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে যাতে সে সেখানে আসে। সূর্য সেখানে যায় এবং তাকে তৈরি হয়ে নিতে বলে কারণ এবার সে মিশকা এবং তার সন্তানকে নিয়ে বাড়ি যাবে।

এরপরেই সেন করতে পারি সবাই চমকে যায় যখন সূর্য হাতে তার পুত্র সন্তান নিয়ে প্রবেশ করে। বাড়ির কেউ বাচ্চাটিকে বরণ করতে চায় না তবে একমাত্র সোনা বরণের থালা নিয়ে নিজের ছোট্ট ভাইকে বরণ করে। সে বলে কেউ বেবিটার উপর রেগে নেই বরং সবাই রেগে আছে পচা আন্টির উপর। এরপর লাবণ্য বাচ্চাটাকে আর মিশকাকে তাদের ঘরে নিয়ে যায়। দীপা এবার গর্জে ওঠে নিজের অধিকারের জন্য।

ওদিকে ডাক্তার অর্জুন দীপার পুরনো বাড়ির কাছে যায় এবং তার পুরনো কথা মনে পড়ে। তবে এখন সেই বাড়ি বিক্রি করে দীপার বাবা-মা অন্য জায়গায় চলে গেছে এবং সেখানে অন্য একজন এসেছে। এর মধ্যে দেখা যায় দীপা সূর্যকে আলাদাভাবে কথা বলার জন্য তাদের ঘরে ঢাকে এবং তারপর সে প্রশ্ন করে সোজাসুজি যে এবার সে কি করবে নিজের দুই মেয়েকে নিয়ে। সূর্য নিরুপায় হয়ে দীপাকে বলে সে সবকিছু সামনে নেবে তবে বাচ্চাটা সুস্থ হয়ে যাক কিছুদিনের জন্য কারণ সে নিজেও চায় মিশকাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিতে। দীপা বলে সে বাচ্চাটার উপর বিরক্ত নয়, বরং সূর্যের নিজের জীবন আজ তাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।